বঙ্গবন্ধু মহাসড়কে (সিলেট-কোম্পানীগঞ্জ-ভোলাগঞ্জ) টোল আদায় ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পেল কোরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে করপোরেশন (কেইসি)। আগামী পাঁচ বছরের জন্য টোল আদায় করবে প্রতিষ্ঠানটি। এ জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ওই কোম্পানিকে দিতে হবে ৭১৭ কোটি টাকা।
বুধবার সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় এ-সংক্রান্ত দরপ্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়।
সভা শেষে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী। সভায় এটিসহ মোট ১৫টি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়।
এসব প্রকল্পে ব্যয় বরাদ্দের পরিমাণ মোট ৬ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ব্যয় হবে ১ হাজার ১২৯ কোটি টাকা। আর বৈদেশিক অর্থায়ন থেকে পাওয়া যাবে ৫ হাজার ৬২০ কোটি টাকা।
জিল্লুর রহমান জানান, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অধীনে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়ক’-এর টোল আদায়, ইন্টেলিজেন্ট ট্রান্সপোর্ট সিস্টেম (আইটিএস) এবং এক্সপ্রেসওয়ে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে সার্ভিস প্রোভাইডার হিসেবে কোরিয়া এক্সপ্রেসওয়েজ করপোরেশনকে আগামী পাঁচ বছরের জন্য দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এতে সরকারের ব্যয় হবে ৭১৭ কোটি ৫ লাখ টাকা।
জানা গেছে, ২০১৬ সালের ৩১ মে সিলেট-কোম্পানীগঞ্জ-ভোলাগঞ্জ সড়ককে জাতীয় মহাসড়কে উন্নীতকরণ প্রকল্পের চুক্তি স্বাক্ষর হয়।
৪৪১ কোটি ৫৪ লাখ টাকা ব্যয়সাপেক্ষ ৩১ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কের কাজ ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নানা কারণে কয়েক ধাপে এ প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় প্রায় ৭০০ কোটি টাকা।
এ ছাড়া ওয়েট স্কেল স্থাপনসহ আরও অনেক কাজে নির্মাণ ব্যয় ছাড়িয়ে যায় হাজার কোটি টাকা।
চুক্তি অনুযায়ী, মহাসড়কটি দেখভাল করার দায়িত্ব পায় কেইসি।
বুধবারের সভায় অনুমোদিত অন্য সব প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে- সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের ৪টি, স্থানীয় সরকার বিভাগের ৪টি, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ৩টি, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের ৩টি এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ১টি।