বরগুনার সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বুড়িরচর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমানসহ চারজনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা হয়েছে।
বরগুনার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে বুধবার মামলাটি করেন বুড়িরচর ইউনিয়নের সোনাখালী গ্রামের এনামুল হক শাহীন।
অপর তিন আসামি হলেন, বুড়িরচর ইউনিয়নের বড়লবণগোলার ফারুক মৃধার ছেলে সুমন ও বশির এবং সৈয়দ গাজীর ছেলে মুসা।
আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আখতার হোসেন নিউজবাংলাকে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে সমন দিয়েছেন।’
মামলার এজাহারে বলা হয়, গেল বছরের ২১ জুন প্রথম ধাপের ইউপি নির্বাচনে এনামুল হক শাহীন স্বতন্ত্র এবং সিদ্দিকুর রহমান আওয়ামী লীগ মনোনীত ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন। নির্বাচনে শাহীন ও সিদ্দিকুর রহমান উভয়েই পরাজিত হন। ওই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী হুমায়ুন কবীর।
পরাজিত হওয়ার পর বিভিন্ন সময়ে সিদ্দিকুরের সমর্থকরা শাহীনের সমর্থকদের মারধরের চেষ্টা করেছে। ১৯ জুন রাত সাড়ে ৯টার দিকে বরগুনা থানার সামনে বরগুনা পৌরসভার মেয়র কামরুল আহসান মহারাজের ল চেম্বারের সামনে অভিযুক্তরা তাকে একা পেয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালান। এতে আহত শাহিন বরগুনা সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন।
বাদী শাহীনের ভাষ্য অনুযায়ী, আওয়ামী লীগ নেতা সিদ্দিকুর রহমানের ধারণা- শাহীন অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী হুমায়ুনের সঙ্গে আঁতাত করে আওয়ামী লীগ নেতাকে পরিকল্পিতভাবে পরাজিত করেছেন। এ নিয়ে তার ওপর ক্ষিপ্ত সাবেক এই চেয়ারম্যান।
শাহীন বলেন, ‘আমি নির্বাচনে কারও সঙ্গে আপোস করিনি। সিদ্দিকুর মনে করেছে, আমি হুমায়ুনের সঙ্গে আপোস করে তাকে বিজয়ী করেছি। ভুল ধারণার ওপর ভিত্তি করে তার লোকজন আমাকে মারধর করেছে।
‘আমার বাবা আবদুল মান্নান ওই ইউনিয়নে দুইবার চেয়ারম্যান ছিলেন। আমি একাধিকবার নির্বাচন করেছি। সিদ্দিক ও তার লোকজন অনেক লোকের সামনে আমাকে মারধর করেছে। এটা আমার কাম্য ছিল না।’
মারধরের অভিযোগের প্রসঙ্গে সিদ্দিকুর নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি দুই বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলাম। এবার হতে পারিনি। এতে আমার কারো উপর কোনো ক্ষোভ নেই। শাহীনকে আমি মারিনি। তিনি কারও পরামর্শে আমার সম্মান নষ্ট করার জন্য মিথ্যা মামলা করেছে।
‘শাহিন মামলায় উল্লেখ করেছে পৌর মেয়রের ল চেম্বারের সামনে ঘটনা। সেখানে কোনো ঘটনা হলে পৌর মেয়র সাক্ষী থাকতেন। শাহিনের মিথ্যা মামলা করা ঠিক হয়নি।’