পদ্মা সেতু চালুর পর যাত্রীসেবার মান উন্নয়নে জোর দিচ্ছেন দক্ষিণবঙ্গের বাস মালিকরা। আধুনিক ও বিলাসবহুল নতুন বাস নামানোর পরিকল্পনা রয়েছে অনেক কোম্পানির। এসব কোম্পানি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যাত্রী চাহিদা মাথায় রেখে সেতু চালু হওয়ার পরপরই তারা সেবায় আনতে চান নতুনত্ব।
মাদারীপুরের একাধিক পরিবহন মালিক নিউজবাংলাকে জানান, পদ্মা সেতু চালুর পর সড়কপথে ঢাকা যেতে দীর্ঘদিনের দুর্ভোগের অবসান ঘটবে। পথে কোনো ফেরি না থাকায় বাসে অল্প সময়ের মধ্যেই ঢাকায় পৌঁছাতে পারবেন যাত্রীরা। বিষয়টি মাথায় রেখে সেবার মান বাড়াতে বাস মালিকেরাও প্রস্তুত হচ্ছেন।
মাদারীপুর জেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি মাহবুবুর রহমান হাওলাদার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পদ্মা সেতু চালু উপলক্ষে মাদারীপুরে-ঢাকা রুটে মাদারীপুর জেলা বাস মালিক সমিতির ২২টি বাসের সঙ্গে নতুন ২৫টি বাস যুক্ত হচ্ছে। এ জন্য বিনিয়োগ করা হচ্ছে প্রায় ১০ কোটি।’
তিনি বলেন, ‘নতুন বাসের অধিকাংশতেই থাকবে এসি। এতে যাত্রীরা অনেক স্বাচ্ছন্দ্য পাবেন।’
বাস মালিক সমিতির নতুন বাসের পাশাপাশি মাদারীপুরের সার্বিক পরিবহনের ৫৭টি গাড়ির সঙ্গেও যুক্ত হচ্ছে নতুন ২০টি চেয়ার কোচ ও পাঁচটি এসি গাড়ি। জেলার চন্দ্র পরিবহন, সোনালী পরিবহনেও নতুন বাস যুক্ত করার কথা ভাবছে মালিকপক্ষ।
সার্বিক পরিবহনের তত্ত্বাবধায়ক আবুল হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পদ্মা সেতু চালু উপলক্ষে আমরা গাড়িতে নতুন চেসিস সংযোজন করছি। এছাড়া নতুন ছয়টি গাড়ি তৈরি করছি, সামনে আরও তৈরি করা হবে। পুরোনো গাড়িগুলোকে মেরামতসহ পেন্টিংয়ের কাজ শেষে দ্রুত রাস্তায় নামানো হবে।’
মাদারীপুর পুরান বাসস্ট্যান্ড ও সার্বিক পরিবহনের বাস ডিপোতে গিয়ে দেখা যায়, বেশ কয়েকটি নতুন বাস রাস্তায় চলাচলের উপযোগী করার কাজ শেষ হয়েছে। আরও কয়েকটি বাস প্রস্তুত করছেন শ্রমিকরা।
বাস নির্মাণ শ্রমিক সুরেশ চন্দ্র সরকার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পদ্মা সেতুর চালু হচ্ছে বলে আমাদেরও কাজের চাপ দ্বিগুণ বেড়ে গেছে। শ্রমিকরা দিন-রাত এক করে কাজ করছে। আমরা নতুন নতুন ডিজাইনের গাড়ির বডি তৈরি করছি। এসি যুক্ত করা হচ্ছে।’
স্থানীয় বাসিন্দা সৈয়দ মমসাদউজ্জামান মিমুন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের সব কাজ ঢাকামুখী। প্রতিনিয়ত এই রুটে যাতায়াত করতে হয়। পদ্মা সেতু চালু হলে ভালো মানের বাস যোগাযোগে নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে আশা করছি।’