বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পদ্মায় লঞ্চ-স্পিডবোট সার্ভিসের কী হবে

  •    
  • ২২ জুন, ২০২২ ১৫:০১

কয়েক মাস আগে লঞ্চ মালিক সমিতির সদস্যরা বিআইডব্লিউটিএর কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেশের কয়েকটি নৌপথ পরিদর্শন করেন, তবে নতুন নৌপথের বিষয়ে এখন পর্যন্ত কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোনো আশ্বাস পাওয়া যায়নি। একই অবস্থা স্পিডবোট সংশ্লিষ্টদেরও।  

পদ্মা সেতু চালুর পর বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌপথে বন্ধ হয়ে যাবে লঞ্চ-স্পিডবোট সার্ভিস। ফলে এই নৌপথে চলাচলকারী ৮৭টি লঞ্চ ও শতাধিক স্পিডবোটের সঙ্গে জড়িত হাজারখানেক পরিবারের জীবন-জীবিকা নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা।

সংকট কাটাতে দেশের অন্য নৌপথে লঞ্চ ও স্পিডবোট স্থানান্তরের চেষ্টা করছেন মালিকেরা। এ বিষয়ে তারা বিআইডব্লিউটিএর কাছে লিখিত আবেদনও করেছেন, তবে বিষয়টি এখনও সুরাহা হয়নি।

লঞ্চ ও স্পিডবোট মালিকরা নিউজবাংলাকে জানান, বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌপথে চলাচলকারী লঞ্চ ও স্পিডবোট অন্য নৌপথে নেয়া না গেলে তাদের জীবনে বিপর্যয় নেমে আসবে। বিষয়টি সমাধানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া-মাঝিকান্দি লঞ্চ মালিক সমিতি।

কয়েক মাস আগে সমিতির সদস্যরা বিআইডব্লিউটিএর কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেশের কয়েকটি নৌপথ পরিদর্শন করেন, তবে নতুন নৌপথের বিষয়ে এখন পর্যন্ত কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোনো আশ্বাস পাওয়া যায়নি।

বাংলাবাজার-শিমুলিয়া লঞ্চমালিক সমিতির নেতা ইমান খান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘নতুন রুটের খোঁজে বেশ কয়েকটি এলাকা পরিদর্শন করেছেন লঞ্চ মালিকেরা। এর মধ্যে জামালপুর জেলার জামালপুর-সারিয়াকান্দি রুট, নড়িয়া-চাঁদপুর রুটের আলুবাজার ফেরিঘাট এবং ফরিদপুরের চরভদ্রাসন-মৈনট ঘাটে লঞ্চ সার্ভিস চালুর বিষয়ে প্রাথমিক লক্ষ্য রয়েছে, তবে পরিদর্শনের পর কয়েক মাস পেরিয়ে গেলেও কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে সুনির্দিষ্ট কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।’

এমএল বোরহান কবীর এবং শাহিন-সোনিয়া লঞ্চের মালিক সাগর হাওলাদার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এই ঘাটের লঞ্চগুলো বিকল্প নৌরুটে নেয়ার কথা হচ্ছে, তবে এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। কর্তৃপক্ষ দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে অসংখ্য পরিবার মানবিক বিপর্যয়ের মুখে পড়বে।

‘করোনার সময়ে আমাদের দুই বছর অনেক লোকসান গুনতে হয়েছে। এখন লঞ্চ বন্ধ হয়ে গেলে সামনে কী করব সেই চিন্তায় আছি।’

লঞ্চ মালিক সমিতির শিমুলিয়া জোনের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির বলেন, ‘এই নৌরুটে ৮৭টি লঞ্চ রয়েছে। প্রতিটিতে চালক-শ্রমিকসহ কমপক্ষে ১০ জন কর্মী কাজ করেন। সে হিসাবে অন্তত ১০টি করে পরিবার প্রতিটি লঞ্চের ওপর নির্ভরশীল।

‘সব মিলিয়ে হাজারখানেক পরিবারের রুটি-রুজির জায়গা এই লঞ্চ। সেতু চালু হলে নৌরুটে লঞ্চের দরকার হবে না। আমরা বিকল্প নৌরুটে লঞ্চ চালানোর জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে দুইবার লিখিত আবেদন করেও কোনো আশ্বাস পাইনি।’

পদ্মায় স্পিডবোটের মালিক, কর্মচারীরাও আছেন দুশ্চিন্তায়। বাংলাবাজার স্পিডবোট ঘাটের পরিচালক রাসেল মিয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ঘাটে শতাধিক স্পিডবোট চলাচল করছে। এর মাধ্যমে পাঁচ শতাধিক মালিক-কর্মচারীর জীবিকা নির্বাহ হয়, তবে সেতু চালুর পরে কী হবে, সে বিষয় এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

‘মালিকপক্ষ তিন মাস আগে অন্য রুটের দাবি জানিয়ে বিআইডব্লিউটিএর কাছে একটি লিখিত আবেদন করেছে, তবে তারা এখনও কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। ফলে আমরা দুশ্চিন্তায় রয়েছি। কীভাবে আমাদের সংসার চলবে, সেটা নিয়ে ভাবছি।’

বাংলাবাজার স্পিডবোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার বেপারী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পদ্মায় দীর্ঘদিন ধরে স্পিডবোট চলাচল করছে। গত বছরের আগস্ট মাসে স্পিডবোট ফিটনেস রেজিস্ট্রেশন করা হয়। সেই সঙ্গে কর্তৃপক্ষ ড্রাইভারদের প্রশিক্ষণ দিয়ে সনদপত্র দিয়েছে। এখন সেতু চালু হলে আমাদের কী উপায় হবে?’

এ ব্যাপারে বিআইডব্লিউটিএর বাংলাবাজার ঘাটের ট্রাফিক পরিদর্শক (টিআই) আক্তার হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘লঞ্চ মালিকেরা নতুন রুটে তাদের লঞ্চ চালানোর আবেদন করেছেন। তাদের সঙ্গে নিয়ে কর্মকর্তারা বেশ কয়েকটি রুট পরিদর্শনও করেছেন। এখন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিলে সেসব রুটে এখানকার লঞ্চগুলো স্থানান্তর করা যেতে পারে।’

এ বিভাগের আরো খবর