সরকারের প্রস্তুতি থাকলেও প্রয়োজনীয়তার নিরিখে দ্বিতীয় পদ্মা সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পদ্মা সেতু নির্মাণের ব্যয় উঠে আসার পর বিষয়টি ভাবা হবে বলেও ইঙ্গিত ছিল প্রধানমন্ত্রীর কথায়।
ঢাকার তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বুধবার সকালে সংবাদ সম্মেলনে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘দ্বিতীয়টার জন্য আমাদের মোটামুটি আয়োজন আছে। তবুও আগে দেখতে হবে এটার প্রয়োজনীয়তাটা কতটুকু। সেটার ওপর বিবেচনা করেই এটা করা হবে।’
পদ্মা সেতুর মতো মেগা প্রকল্পের কাজ শেষ করে আবার আরেকটা বড় প্রকল্পের কাজ এই মুহূর্তে শুরু করা সম্ভব নয় বলেও জানান তিনি।
ঢাকার তেজগাঁওয়ে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এখনই শুরু করতে পারব না। আর আপনারা জানেন যে এটা ছিল আরিচা থেকে ফেরি যেত দৌলতদিয়া। পাটুরিয়ার যে জায়গাটা সেটা একটা শ্যালো জায়গা ছিল। অনবরত এখানে নদী ড্রেজিং করতে হতো। আমারই পরামর্শে ড্রেজিং করা পলি ওখানে ফেলে ফেলে এই জায়গাটা ভরাট করা হয়।
‘ভবিষ্যতে যখন আমাদের প্রয়োজন আমরা মনে করব, আমি আগেই বলেছি কোনো প্রকল্প নেয়ার আগে সেখান থেকে আমার রিটার্ন কী আসবে সেটা আমাদের দেখতে হয়। সেটা দেখে আমরা করব।’
তবে দ্বিতীয় পদ্মা সেতুর কথা সরকারের ভাবনায় আছে বলেও নিশ্চিত করেন তিনি।
সরকারপ্রধান বলেন, ‘কাজেই সেটা আমাদের মাথায় আছে। যেখানে হয়তো করতে হতে পারে, করব। তখন আমরা সেটা উদ্যোগ নেব। এখন এতবড় একটা খরচ করেছি, আগে সেটার টাকা উঠুক, তারপর তো ওটা করব, পরবর্তী সময়ে।’
পদ্মা সেতু নির্মিত হয়েছে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া থেকে শরীয়তপুরের জাজিরা প্রাপ্ত দিয়ে। এই সেতু নির্মাণ নিয়ে যখন প্রথম আলোচনা, সে সময় এই পথে নাকি পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া রুটে হবে, তা নিয়ে শুরুতে ছিল আলোচনা। সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের পর মাওয়া হয়ে বানানোর সিদ্ধান্ত হয়। এই সেতুর নির্মাণকাজ এগিয়ে যাওয়ার সময়ই সরকার দ্বিতীয় পদ্মা সেতু নির্মাণের কথা বলে।
পদ্মা সেতু নির্মাণের পর পাটুরিয়া-গোয়ালন্দ রুটে দ্বিতীয় পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে চায় সরকার। তবে এ রুটে সেতুর পরিবর্তে টানেল নির্মাণ করার পক্ষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। এতে নদী ও পরিবেশ বাঁচবে বলে মনে করেন তিনি।
শেরে বাংলা নগরের গত ২২ এপ্রিল এনইসি সম্মেলন কক্ষে ডেভলপমেন্ট জার্নালিস্ট ফোরাম অফ বাংলাদেশ (ডিজেএফবি) আয়োজিত ইফতার অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।