বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হাজার প্যাকেট ত্রাণ নিয়ে সিলেটে চবি শিক্ষার্থীরা

  •    
  • ২২ জুন, ২০২২ ১০:০২

চবির আলাওল হল থেকে শুকনা খাবার নিয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সিলেটের উদ্দেশে রওনা হয় জালালাবাদ স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের স্বেচ্ছাসেবীদের বহনকারী বাসটি। ওই বাসের ব্যবস্থা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

প্রায় এক হাজার প্যাকেট ত্রাণ নিয়ে সিলেটে পৌঁছেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শিক্ষার্থীদের একটি দল।

চবির জালালাবাদ স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের দলটি বুধবার সকালে সিলেটে পৌঁছায়।

চট্টগ্রাম থেকে নিয়ে যাওয়া এসব ত্রাণসামগ্রী শুরুতে সিলেট ও পরবর্তী সময়ে সুনামগঞ্জে বন্যাদুর্গতদের দেয়া হবে।

সিলেট ও সুনামগঞ্জে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যাকবলিতদের সাহায্যার্থে শুরু থেকেই এগিয়ে এসেছেন চবি শিক্ষার্থীরা। এরই মধ্যে সুনামগঞ্জে বন্যাকবলিত প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রায় ৭৫টি পরিবারের কাছে ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছে চবি শিক্ষার্থীদের আরেক সংগঠন ‘উদ্দীপ্ত বাংলাদেশ’।

চবির আলাওল হল থেকে শুকনা খাবার নিয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সিলেটের উদ্দেশে রওনা হয় জালালাবাদ স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের স্বেচ্ছাসেবীদের বহনকারী বাসটি। ওই বাসের ব্যবস্থা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বন্যার্তদের সহায়তার জন্য গত তিন দিন জালালাবাদ স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা বিশ্ববিদ্যালয় এবং কাছাকাছি এলাকা থেকে দুই লক্ষাধিক টাকা সংগ্রহ করেছেন। অনুদান হিসেবে যুক্তরাজ্যপ্রবাসীদের কাছ থেকে পেয়েছেন এক লাখ টাকা। সে টাকা দিয়ে চট্টগ্রাম থেকেই মালামাল কিনে প্যাকেট করা হয়।

অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মাসরুর আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের জন্মস্থান সিলেট ও সুনামগঞ্জের মানুষ বন্যায় অনেক কষ্টের মধ্যে আছেন। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সিলেটের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছি।

‘আমরা ক্যাম্পাস, শহর, হাটহাজারী ও যুক্তরাজ্যপ্রবাসীদের থেকে তিন লাখ টাকা অনুদান পেয়েছি। যুক্তরাজ্যপ্রবাসীদের থেকে এক লাখ টাকা, ক্যাম্পাস, শহর ও আশপাশের এলাকা থেকে দুই লক্ষাধিক টাকা সংগ্রহ করেছি।’

তিনি বলেন, ‘আমরা শুকনা খাবার, গুড়, চিড়া, মুড়ি, বন রুটি, চাল, ডাল, মোমবাতি, দিয়াশলাই, ন্যাপকিন, ওষুধ, স্যালাইনসহ আরও যা যা লাগে, সেগুলোসহ প্রায় এক হাজার প্যাকেট নিয়ে রওনা হয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমাদের বাসের ব্যবস্থা করে সহায়তা করেছে।’

অন্যদিকে নিজেদের সদস্য ও শুভাকাঙ্ক্ষিদের অর্থায়নে সুনামগঞ্জের প্রায় ৭৫টি পরিবারের কাছে ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন উদ্দীপ্ত বাংলাদেশের সদস্যরা।

সংগঠনের সভাপতি হাসিবুল খান বলেন, ‘আমরা আমাদের সামর্থ্যানুযায়ী প্রায় ৭৫টি পরিবারের মাঝে ত্রাণের ব্যবস্থা করেছি। আমাদের সদস্য মারুফুল ফারাবী সুনামগঞ্জে অবস্থান করছিলেন। আমাদের প্রেরিত অর্থ দিয়ে তিনি ত্রাণসামগ্রী কিনে অন্য সদস্যদের নিয়ে বন্যাকবলিতদের মাঝে পৌঁছে দেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘উদ্দীপ্ত বাংলাদেশ থেকে প্রথম ধাপে মঙ্গলবার ধর্মপাশা উপজেলার প্রান্তিক এলাকায় (যেখানে সহায়তা সামগ্রী তেমন পৌঁছাচ্ছে না) খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়। প্রতি প্যাকেটে গুড়, চিড়া, মুড়ি, সল্টেজ বিস্কুট, টোস্ট বিস্কুট, স্যালাইন, ট্যাবলেট, মোমবাতি, দিয়াশলাই, সাবান, বন রুটি দেয়া হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি আরও ত্রাণের ব্যবস্থা করার।’

শিক্ষার্থীদের কাজের প্রশংসা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, ‘আমাদের ছেলেরা মানবিক বিবেকবোধ থেকে মানবতার সেবায় সিলেট যাচ্ছেন। আমাদের উপাচার্য বিষয়টি জেনে তাদের জন্য গাড়ির ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা চাই আমাদের শিক্ষার্থীরা এই রকম মানবিক কাজে এগিয়ে আসুক।’

এ বিভাগের আরো খবর