গাজীপুরের কাপাসিয়ায় শীতলক্ষ্যা নদীতে ঝাঁপ দেয়ার খবরে দুদিন ধরে খোঁজাখুজি করেও পাওয়া যায়নি এক নারী ও তার শিশুকন্যাকে।
ঘটনাটি গত রোববার দুপুরের। সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তাদের উদ্ধারে অভিযান চালায় ফায়ার সার্ভিস। তবে তাদের না পেয়ে উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে বলে মঙ্গলবার জানিয়েছে বাহিনীটি।
কাপাসিয়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) সাবেদ আলী খান জানান, সাধারণত পানিতে ডুবে যাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মরদেহ ভেসে ওঠে। রোববার রাত ৮টা পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চালানো হয়। সোমবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ফের অভিযান চালানো হয়। নিখোঁজের জায়গা ছাড়াও আশপাশের ৩ কিলোমিটারের মধ্যেও খোঁজা হয়। তবে কোথাও জীবিত বা মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়নি মা-মেয়েকে।
তিনি আরও জানান, অভিযান শেষ হলেও সদস্যরা তৎপর আছেন। কোথাও কোনো খোঁজ পেলে তাদের উদ্ধারে চেষ্টা চলবে।
দুই মেয়েকে নিয়ে শীতলক্ষ্যা নদীতে ঝাঁপ দিয়েছেন এক নারী- এমন খবরে রোববার সেখানে উদ্ধারকাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিস। বাহিনীর ডুবুরি দল যাওয়ার আগেই স্থানীয়রা ৯ বছরের শিশুকন্যাকে নদী থেকে জীবিত উদ্ধার করেছে। সে-ই জানিয়েছে মায়ের ঝাঁপ দেয়ার কথা। উপজেলার সিংহশ্রী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
উদ্ধার শিশুর বয়স ৯; তার নাম তাহমিদা আক্তার। তার মা আরিফা আক্তার ও ছোট বোন ৭ বছরের মুর্শিদা আক্তার নদীতে নিখোঁজ বলে সে জানায়।
আরিফার বাড়ি কাপাসিয়া উপজেলার রায়েদ ইউনিয়নের বিবাদিয়া গ্রামে। তার স্বামী আব্দুল মালেক বেঁচে নেই।