পদ্মা নদীর তীব্র স্রোতে মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের আজিমনগর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের চারতলা ভবন বিলীন হয়ে গেছে।
মঙ্গলবার বেলা দেড়টায় ভবনটি মুহূর্তে পদ্মায় বিলীন হয়ে যায়।
আজিমনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. বিল্লাল হোসেন জানান, মঙ্গলবার দুপুরে বিদ্যালয়টি মুহূর্তে পদ্মায় বিলীন হয়ে গেছে। গত কয়েক দিনে হাতিঘাটা আশ্রয়ণ প্রকল্পের ১০টি ঘর নদীতে ধসে গেছে। পদ্মার তীব্র স্রোতে ভাঙনে আরও বেশকিছু স্থাপনা বিলীন হতে চলেছে।
উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীনে ৬৬ লাখ ৯৭ হাজার টাকা ব্যয়ে চারতলা ভবনের একতলা ভবন নির্মাণ করা হয়। ২০১৯-২০ অর্থবছরে আরও ১ কোটি ২৩ লাখ ৫০ হাজার টাকায় বাকি তিনতলা নির্মাণের অনুমোদন পায়। সম্প্রতি পুরো চারতলার কাজ শেষ হয়েছে।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক আওলাদ হোসেন চৌধুরী জানান, হরিরামপুর উপজেলার চরাঞ্চলের তিন ইউনিয়নের একমাত্র এমপিওভুক্ত মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আজিমনগর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়। সাড়ে চার শতাধিক শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে বিদ্যালয়টিতে। সম্প্রতি ভবনটির চারতলা পর্যন্ত ছাদ দেয়া হয়।
তিনি আরও জানান, নদীতে ভাঙন দেখা দেয়ায় কয়েকদিন আগে বিদ্যালয়ে ক্লাস বন্ধ করে দেয়া হয়। পদ্মা নদী থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে আজিমনগর হাতিঘাটা এলাকায় অস্থায়ীভাবে বিদ্যালয় স্থাপনের চেষ্টা চলছে। সেখানে তাদের ক্লাস নেয়া হবে।
হরিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম জানান, বিদ্যালয়টি বিলীন হওয়ায় অনেক ক্ষতি হয়ে গেল। একদিকে সরকারি অর্থ নষ্ট হলো, অন্যদিকে ছেলেমেয়েদের পড়ালেখার ক্ষতি। ভাঙনরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
মানিকগঞ্জ পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মঈন উদ্দিন বলেন, ‘ভাঙন এলাকায় দুদিন আগে আমাদের প্রতিনিধি পরিদর্শন করেছেন। ভাঙনঝুঁকিতে থাকায় দেড় বছর আগেই স্কুলের ভবন নির্মাণ বন্ধে উপজেলা প্রশাসন ও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরকে বলা হয়েছিল। স্কুল ভবনের নির্মাণকাজ বন্ধও ছিল।’