পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধির সঙ্গে তীব্র স্রোতে ফরিদপুরে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ফাটল ধরেছে পাড় রক্ষা বাঁধে।
চরভদ্রাসন উপজেলার চর হরিরামপুর ইউনিয়নের সবুল্লা শিকদারের ডাঙ্গী এলাকায় ভাঙন প্রকট রূপ নিয়েছে। লোহারটেক কোলের সংযোগ বাঁধে ফাটল দেখা দিয়েছে।
ভাঙনের কবলে পড়েছে সবুল্লা শিকদারের ডাঙ্গী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে এলাকার সাড়ে ৩০০ পরিবার।
মঙ্গলবার দুপুরে চরভদ্রাসন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানজিলা কবির ত্রপা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ভাঙন এলাকায় ফেলা বস্তা পানির স্রোতে ভেসে গেছে। সেখানে আবার বালুর বস্তা ফেলাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
গোয়ালন্দ পয়েন্টে পানি উন্নয়ন বোর্ডের গেজ লিডার সালমা খাতুন জানান, মঙ্গলবার গোয়ালন্দ পয়েন্টে পদ্মার পানি গত ২৪ ঘণ্টায় ২০ সেন্টিমিটার বেড়ে ৮ দশমিক ২৮ সেন্টিমিটার সীমায় প্রবাহিত হচ্ছে। যা বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৩৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত।
সোমবার দুপুর থেকে ওই স্থানে ভাঙন দেখা যায়। চরভদ্রাসনের ডাঙ্গী গ্রামের বাঁধে পাউবো বালুভর্তি জিও ব্যাগের ডাম্পিং করা প্রায় ১০ মিটার নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।
স্থানীয় মজেল খাঁ জানান, পদ্মা নদী ও লোহারটেক কোলের সংযোগস্থলে তীব্র স্রোত দেখা দিয়েছে। বালুভর্তি ব্যাগ নদীতে তলিয়ে যেতে থাকে।
চর হরিরামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজাদ খাঁন জানান, পদ্মায় পানি বৃদ্ধির সঙ্গে তীব্র স্রোতের কারণে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এ এলাকায় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও প্রায় সাড়ে ৩০০ পরিবার ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। ভাঙনরোধে কাজ চলছে। বালুভর্তি ব্যাগ ডাম্পিং করা হচ্ছে। প্রতিটি বালুভর্তি জিও ব্যাগের ওজন প্রায় তিন মণ। তাও ফেলার সঙ্গে সঙ্গে নিচের দিকে দেবে যাচ্ছে। কাজের পরিমাণ ও গতি বাড়াতে হবে।
ফরিদপুর পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী পার্থ প্রতিম সাহা বলেন, ভাঙনরোধে কাজ চলছে। সবুল্লা শিকদারের ডাঙ্গী গ্রামে ২০০ মিটার স্থায়ী বাঁধের কাজটি পুরোপুরি সম্পন্ন করা যায়নি। এ বছর প্রকল্প এলাকা ঢালু করে তার ওপর জিও ব্যাগের ডাম্পিং করা হয়েছে। ওই স্থানে ভাঙনের খবর পেয়েছি।