বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নেত্রকোণায় বানের পানিতে মিলল দুই মরদেহ, মৃত বেড়ে ৪

  •    
  • ২১ জুন, ২০২২ ১৭:২৬

কেন্দুয়া থানার ওসি জানান, জুড়াইল গ্রামের দক্ষিণপাড়ার জুলেখা বেগম মঙ্গলবার সকালে বন্যার পানি দেখার জন্য শিশুকন্যাকে নিয়ে ডিঙি নৌকায় চড়ে জুড়াইল হাওরে যান। সে সময় প্রবল বাতাসে নৌকাটি দোল খেতে থাকলে তার ৭ বছরের মেয়ে তানজিনা পানিতে পড়ে যায়। মেয়েকে বাঁচাতে তিনিও ঝাঁপ দেন।

নেত্রকোণার কেন্দুয়া ও কলমাকান্দায় বানের পানি থেকে দুই নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

নিউজবাংলার প্রতিনিধির পাওয়া তথ্য অনুযায়ী এ নিয়ে জেলায় বন্যার পানিতে ডুবে চারজনের মৃত্যু হয়েছে।

কেন্দুয়ার জুড়াইল হাওর ও কলমাকান্দার খারনৈ এলাকার খাগগড়া বিল থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয় মঙ্গলবার সকালে।

কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী হোসেন ও কলমাকান্দা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শহীদুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয়দের বরাতে কেন্দুয়া থানার ওসি জানান, জুড়াইল গ্রামের দক্ষিণপাড়ার জুলেখা বেগম মঙ্গলবার সকালে বন্যার পানি দেখার জন্য শিশুকন্যাকে নিয়ে ডিঙি নৌকায় চড়ে জুড়াইল হাওরে যান। সে সময় প্রবল বাতাসে নৌকাটি দোল খেতে থাকলে তার ৭ বছরের মেয়ে তানজিনা পানিতে পড়ে যায়। মেয়েকে বাঁচাতে তিনিও ঝাঁপ দেন। মেয়েকে তুলে নৌকায় দিতে পারলেও ডুবে যান জুলেখা। আশপাশের লোকজন তাকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে।

কলমাকান্দা থানার এসআই শহীদুল ইসলাম জানান, সকালে খাগগড়া বিলের পানিতে এক নারীর অর্ধগলিত মরদেহ ভাসতে দেখে থানায় খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে পুলিশ গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।

এসআই জানান, ধারণা করা হচ্ছে যে গত বৃহস্পতিবার রাতে পাহাড়ি ঢলে উত্তর দিক থেকে ভেসে আসেন ওই নারী। বিকেল পর্যন্ত তার পরিচয় জানা যায়নি।

ওই এলাকার পাশেই ভারত সীমান্ত হওয়ায় তিনি ভারতের বাসিন্দাও হতে পারেন- স্থানীয়দের এমন ধারণার কথাও জানান এসআই শহীদ।

এর আগে গত রোববার মোহনগঞ্জ উপজেলার রামজীবনপুর গ্রামে গরুর জন্য হাওর থেকে ঘাস আনতে গিয়ে বন্যার পানিতে ডুবে মারা গেছেন আমিনুল ইসলাম মুন্সি নামে এক কৃষক।

মোহনগঞ্জের নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ছাবি আহমেদ আকুঞ্জি এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

দুর্গাপুর উপজেলায় গত শুক্রবার বিকেলে বন্যার্তদের উদ্ধারে গিয়ে পানিতে ডুবে নিখোঁজ হয়েছিলেন আক্কাস মিয়া নামে এক যুবক। ২১ ঘণ্টা পর ভেসে ওঠে তার মরদেহ।

স্থানীয়দের বরাতে দুর্গাপুর থানার ওসি শিবিরুল ইসলাম জানান, বন্যায় চণ্ডীগড় ইউনিয়নের তেলাচী গ্রামের আক্কাসের আত্মীয় আব্দুল বারেকের বাড়িঘর ভেসে যাচ্ছে- এমন খবর শুনে তিনি বারেকের বাড়ির দিকে রওনা হন। পথে চণ্ডীগড় উচ্চবিদ্যালয়ের সামনে প্রবল স্রোতে সঙ্গে থাকা তিনজনসহ তিনি পানিতে পড়ে যান। অন্যরা সাঁতরে বেঁচে গেলেও আক্কাসকে পাওয়া যায়নি।

পরে ফায়ার সার্ভিস শনিবার তার মরদেহ উদ্ধার করে।

এ বিভাগের আরো খবর