এক ঘণ্টার বৃষ্টিতে কুষ্টিয়া শহরের অধিকাংশ সড়ক ডুবে গেছে। সবচেয়ে উঁচু নবাব সিরাজ উদ দৌলা সড়কেও পানি জমেছে।
মঙ্গলবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে বৃষ্টি শুরু হয়ে অঝোরে ঝরে এক ঘণ্টা।
কুমারখালী আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ মামুন অর রশিদ বলেন, ‘কুষ্টিয়ায় পরিমাপযন্ত্র না থাকায় বৃষ্টিপাতের সঠিক পরিমাপ করা যায়নি। তবে ধারণা করা হয়, ১৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।’
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বলছে, বৃষ্টিতে শহরে জলাবদ্ধতা দেখা দিলেও কুষ্টিয়ায় পদ্মা ও গড়াই নদীর পানি এখনও বিপৎসীমার অনেক নিচে।
পাউবো পাবনার হাইড্রোলজি বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জাহিদ হোসেন বলেন, ‘সকালে পদ্মার হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পানি প্রবাহের উচ্চতা ছিল ৯ দশমিক ৩৮ মিটার। যা আগের দিনের চেয়ে ৩৫ সেন্টিমিটার বেশি। এই পয়েন্টে বিপৎসীমা ১৪ দশমিক ২৫ মিটার।কুষ্টিয়া শহরের সড়ক ছাড়াও জেনারেল হাসপাতাল, স্কুল-কলেজ, আদালত প্রাঙ্গণ, বিভিন্ন অফিস, পৌর বাজার, দোকানপাট ও বাসাবাড়িতে পানি ঢুকেছে।বেলা ৩টা পর্যন্ত কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ এলাকাসহ বিভিন্ন সড়ক থেকে পানি নামেনি। এ পরিস্থিতির জন্য কুষ্টিয়া পৌরসভার ড্রেনেজ ব্যবস্থাকে দায়ী করেছেন নাগরিকরা।
কুষ্টিয়া পৌর বাজারে আড়তের ব্যবসায়ী মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘আড়তে পানি ঢুকে পেঁয়াজের বস্তা ডুবে গেছে। ইট দিয়ে উঁচু করেও মাল রক্ষা করা যাচ্ছে না। বেচাকেনাও করতে পারছি না। ড্রেন পরিষ্কার না থাকায় পানি নামতে পারছে না।’ ব্যবসায়ী মহিউদ্দিন বলেন, ‘শুকনা-কাঁচা মরিচ, আলুসহ সব মালামাল পানিতে ডুবেছে। আমাদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি সিলেট, সুনামগঞ্জের মতো হবে মনে হচ্ছে। পানি বের হওয়ার ব্যবস্থা নেই।’ পৌর বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘শহরের সব সড়ক ডুবে গেছে। দেখার কেউ নেই। স্কুলের বাচ্চাদের অবস্থা খুবই শোচনীয়। জলাবদ্ধতা নিরসনে পৌরসভার কোনো উদ্যোগ নেই।’
কুষ্টিয়া পৌরসভার প্রধান প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, ‘হঠাৎ ভারি বর্ষণে পানি বেড়েছে। কিছুটা সময় গেলে পানি নেমে যাবে।’
ড্রেনেজ ব্যবস্থার ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘নিয়মিত উন্নয়নকাজ চলছে। পৌর নাগরিকরা যেন যেখানে-সেখানে প্লাস্টিক বর্জ্য না ফেলেন। এতে ড্রেনের মুখ আটকে যায়।’