বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইভিএম যাচাইয়ে ইসিতে গেল না বিএনপি

  •    
  • ২১ জুন, ২০২২ ১৬:১১

ইভিএমবিরোধীদের অভিযোগ, এই যন্ত্র দূর থেকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। ফলে জনগণের ভোট কোনো একটি মার্কায় দিয়ে দেয়া সম্ভব। তবে নির্বাচন কমিশন এই অভিযোগকে অকারণ উল্লেখ করে রাজনৈতিক দলগুলোকে বিশেষজ্ঞ নিয়ে ইভিএম যাচাইয়ের কথা বলে।

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) যাচাইয়ের জন্য নির্বাচন কমিশনের আমন্ত্রণ উপেক্ষা করেছে বিএনপি। দলটির তিন শরিক এবং ধর্মভিত্তিক আরও একটি দল নির্বাচনে কমিশনে যায়নি।

নিবন্ধিত ৩৯ রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় দফায় মঙ্গলবার ১৩টি দলকে টেকনিক্যাল পারসন নিয়ে ইভিএম যাচাইয়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। তবে এদের মধ্যে যায় আটটি।

মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচনে ভবনে বেলা ৩টায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বে কমিশনে এই আট দলের নেতাদের সঙ্গে সভা হয়।

বিএনপি ছাড়াও সভায় যায়নি ২০ দলের শরিক বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি ও বাংলাদেশ মুসলিম লীগ-বিএমএল এবং গত নির্বাচনের আগে করা বিএনপির জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিক জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি।

চরমোনাইয়ের পিরের নেতৃত্বাধীন ইসলামী আন্দোলনও এই আমন্ত্রণ রক্ষা করেনি।

এই দলগুলোর মধ্যে বিএনপি ও জোটের শরিকরা আগে থেকেই বর্তমান কমিশনের অধীনে কোনো ভোটে না যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে রেখেছে। ভোটগ্রহণে ইভিএম ব্যবহারেরও বিরোধী তারা।

ইভিএমবিরোধীদের অভিযোগ, এই যন্ত্র দূর থেকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। ফলে জনগণের ভোট কোনো একটি মার্কায় দিয়ে দেয়া সম্ভব। তবে নির্বাচন কমিশন এই অভিযোগকে অকারণ উল্লেখ করে রাজনৈতিক দলগুলোকে বিশেষজ্ঞ নিয়ে ইভিএম যাচাইয়ের কথা বলে।

নির্বাচন কমিশন আগামী নির্বাচনে ১০০ আসনে ইভিএম ব্যবহারের কথা ভাবছে বলে জানিয়েছিলেন একজন কমিশনার। তবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল জানিয়েছেন, তারা এ বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শেষে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

ইভিএম যাচাইয়ের প্রথম সভায় হাজির হয় ১০টি দল। তবে তারা কোনো টেকনিক্যাল পারসন নেয়নি। প্রথম পর্বে ১৩টি দলকে আমন্ত্রণ দেয়া হলেও ১০টি দল অংশ নেয়।

দ্বিতীয় দফায় সভায় অংশ নিয়েছে ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, ইসলামী ঐক্যজোট, বাংলাদেশ ইসলামিক ফ্রন্ট, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি-এনপিপি, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম।

প্রথম দিন সভায় দলগুলোর সঙ্গে কোনো টেকনিক্যাল পারসন না থাকলেও দ্বিতীয় দিন কয়েকটি দলের সাথে টেকনিক্যাল পারসন ছিল বলে জানান দলগুলোর প্রতিনিধিরা।

গত ২৬ ফেব্রুয়ারি আউয়াল কমিশনকে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। নিয়োগ পাওয়ার পরদিন শপথ নিয়ে ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রথম দাপ্তরিক দায়িত্ব পালন শুরু করে নতুন কমিশন। দেশের নির্বাচনি ব্যবস্থার দায়িত্বভার পাওয়ার পরপরই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বিভিন্ন মহলের সঙ্গে সংলাপের সিদ্ধান্ত নেয় ইসি।

সেই আলোকে গত ১৩ ও ২২ মার্চ এবং ৬ ও ১৮ এপ্রিল যথাক্রমে দেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও বুদ্ধিজীবী এবং নাগরিক সমাজ ও গণমাধ্যমের সঙ্গে সংলাপ করে ইসি।

পরে পর্যবেক্ষক এবং নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক করে ইসি।

পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপে বসার কথা থাকলেও তার আগেই তাদের ইভিএম যাচাইয়ের জন্য চিঠি পাঠায় ইসি। তবে পরে আবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসবে সাংবিধানিক এ প্রতিষ্ঠানটি।

ইসির করা তালিকা অনুযায়ী, আগামী ২৮ জুন তৃতীয় দফায় ক্ষমতাসীন দলসহ আরও ১৩টি নিবন্ধিত দলের সাথে ইভিএম যাচাইয়ের মতবিনিময় সভায় বসবে সাংবিধানিক এ প্রতিষ্ঠানটি।

সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ বাকি তিন কমিশনার ইসির সচিব, অতিরিক্ত সচিবসহ রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিরা উপস্থিত রয়েছেন।

২৮ জুন যারা আসার আমন্ত্রণ পেয়েছে

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল-এমএল, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি, গণতন্ত্রী পার্টি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, বিকল্প ধারা বাংলাদেশ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ও বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট।

এ বিভাগের আরো খবর