বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বাথরুমে প্রাণিসম্পদ বিভাগের পরিচালকের মরদেহ

  •    
  • ২১ জুন, ২০২২ ১৩:০০

অফিস সহায়ক মো. বদিউজ্জামান বলেন, ‘সকালে অফিসে এসে দেখি স্যার নাই। পরে সাড়ে ১০টা কি ১১টা হবে এই সময় তিন তলায় এসে দেখি স্যারের রুমের সামনের কাচি গেট খোলা। ড্রাইভারকে সঙ্গে নিয়ে স্যার যে রুমে থাকে সেখানে যাই। সেখানেও তিনি নাই। পরে বাথরুমে গিয়ে দেখি স্যার গলায় গামছা প্যাঁচায়ে শাওয়ারের সঙ্গে ঝুলে আছে।’

বাথরুম থেকে রংপুর প্রাণিসম্পদ বিভাগের পরিচালকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

অফিসের ওপর তলার বাসার বাথরুম থেকে মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ওলিউর রহমান আকন্দের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মহানগর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

অফিস সহায়ক মো. বদিউজ্জামান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি স্যারের অফিস সহায়ক। সকালে অফিসে এসে দেখি স্যার নাই। পরে সাড়ে ১০টা কি ১১টা হবে এই সময় তিন তলায় এসে দেখি স্যারের রুমের সামনের কাচি গেট খোলা।

‘ড্রাইভারকে সঙ্গে নিয়ে স্যার যে রুমে থাকে সেখানে যাই। সেখানেও তিনি নাই। পরে বাথরুমে গিয়ে দেখি স্যার গলায় গামছা প্যাঁচায়ে শাওয়ারের সঙ্গে ঝুলে আছে। তারপর আমরা বাকিদের জানাই।’

ওলিউর রহমানের বাড়ি গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে। বগুড়ায় নিজেদের বাড়িতে তার পরিবার থাকে। রংপুরে পরিচালক হিসেবে যোগ দেয়ার পর থেকে তিনি অফিসের ভবনের তৃতীয় তলায় থাকতেন।

অফিস সহায়ক বলেন, ‘আমি স্যারকে সব সময় মন খারাপ করে থাকতে দেখতাম। মন খারাপের কারণ জিজ্ঞেস করলে কিছু বলতেন না।’

ওলিউর রহমানের জ্যাঠাতো ভাই শাহজাদা বলেন, ‘আমি ১২টার সময় ফোন পাই। তারপর এসে দেখি ঝুলন্ত মরদেহ। পরিবারের মধ্যে অসন্তুষ্টি ছিল কি না জানি না। কিভাবে কী হলো তদন্ত করে বের করা দরকার।’

মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার আবু মারুফ হোসেন জানান, তারা অফিসের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেছেন। ঘটনাস্থলে সিআইডিসহ গোয়েন্দারা কাজ করছেন। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।

মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি মাহফুজুর রহমান।

এ বিভাগের আরো খবর