চুয়াডাঙ্গায় এক দোকানি ও তার ছেলের বিরুদ্ধে পাওনা ৫০ টাকার জন্য একজনকে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই দোকানিকে আটক করেছে পুলিশ।
সদর উপজেলার কৃষ্ণপুরে সোমবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।
পরিবারের সদস্যরা বলছেন, নির্যাতনের পর বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন আরাফাত আলী নামের ৪৫ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি।
স্থানীয়দের বরাতে দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এইচ এম লুৎফুল কবীর নিউজবাংলাকে জানান, কৃষ্ণপুরের ডাক্তারপাড়ার আরাফাত আলীর কাছে ৫০ টাকা পাওনা ছিল ওই গ্রামের চা দোকানি তোরাফ হোসেনের। সোমবার সকালে আরাফাত তার দোকানে চা খেতে গেলে তোরাফ পাওনা টাকা দাবি করেন।
আরাফাত টাকা না দেয়ায় তিনি তাকে দোকানের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রাখেন। পরে স্থানীয় লোকজন এসে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়।
ওসি আরও জানান, এ ঘটনার পর বাড়ি গিয়ে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন আরাফাত। স্বজনরা তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। চিকিৎসা শেষে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
এরপর ছেলের বাকি টাকা শোধ করতে তোরাফের দোকানে যান জুলফিকার আলী। সে সময় তোরাফের ছেলে সোহাগ হোসেন জুলফিকারকে মারধর শুরু করে। টেনে-হিঁচড়ে মাটিতে ফেলে দেয়।
ওসি বলেন, ‘এ ঘটনায় তোরাফকে আটক করা হয়েছে। তবে তার ছেলে সোহাগ পালিয়ে গেছে। এখনও কেউ কোনো মামলা করেনি।’