ত্রাণসামগ্রী ও জরুরি চিকিৎসা সেবা দিয়ে বানভাসি অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। একইসঙ্গে পানিবন্দি মানুষকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দিতে তৎপর এই সীমান্ত রক্ষা বাহিনীর সদস্যরা।
সোমবার বিজিবি সিলেট ব্যাটালিয়নের (৪৮ বিজিবি) তত্ত্বাবধানে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বন্যাদুর্গত শিমুলতলা গ্রামের অসহায় ২৫০টি পরিবারের এক হাজার সদস্যের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়।
একই দিনে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার বন্যাদুর্গত অসহায় ২০০ পরিবারের আটশ’ মানুষের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করে সুনামগঞ্জ ব্যাটালিয়নের (২৮ বিজিবি)। এ সময় বিজিবির সরাইল রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শহীদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সোমবার এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ত্রাণসামগ্রী বিতরণ ছাড়াও ২৮ বিজিবি’র তত্ত্বাবধানে সুনামগঞ্জ ব্যাটালিয়ন সদরের সামনে বন্যাদুর্গত প্রায় ৪০০ দুস্থ ও অসহায় মানুষকে বিজিবির একটি চিকিৎসক দল বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দেয়। এ সময় তাদের মাঝে ওষুধও বিতরণ করা হয়।
বিজিবি’র জকিগঞ্জ ব্যাটালিয়ন (১৯ বিজিবি) বন্যাকবলিত লালাখাল এলাকার নিশ্চিতপুর ও লালাবস্তি গ্রামে আটকে পড়া ২২টি বানভাসি পরিবারকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়াসহ তাদের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেছে।
বিজিবি’র ময়মনসিংহ সেক্টরের নেত্রকোনা ব্যাটালিয়নের (৩১ বিজিবি) তত্ত্বাবধানে দুর্গাপুর উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নে বন্যাদুর্গত অসহায় ১৫০টি পরিবার এবং জামালপুর ব্যাটালিয়নের (৩৫ বিজিবি) ব্যবস্থাপনায় কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার সাহেবের আলগা বিওপির সীমান্তবর্তী এলাকায় পানিবন্দি দুস্থ ৩০টি পরিবারের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে বন্যা শুরু হওয়ার পর থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সীমান্তবর্তী বন্যাকবলিত অসহায় প্রান্তিক জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে বিজিবি। সিলেট ও সুনামগঞ্জ ছাড়াও লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, শেরপুর, জামালপুর, নেত্রকোনাসহ বন্যাকবলিত বিভিন্ন স্থানে বিজিবি বন্যার্তদের সহায়তায় কাজ করে যাচ্ছে।