সিলেট-সুনামগঞ্জের পর দেশের অন্যান্য অংশে বন্যার বিস্তার ঘটনার বিষয়টি মাথায় রেখে স্থানীয় প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে তিনি এ নির্দেশ দেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভা বৈঠকের পর সচিবালয়ে বিস্তারিত গণমাধ্যমের সামনে তুলে ধরেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘নির্দেশনা দিয়ে দেয়া হয়েছে আমরা কেউ যেন সন্তুষ্ট না থাকি। পানি এসে দ্রুত চলে গেছে বলে এমনটা মনে করার কারণ নেই যে পানি আর আসবে না।
‘আবহাওয়ার পূর্বাভাস যেমন দেখছি, তাতে এটা একেবারে অসম্ভব নয় যে আবারও এ রকম হতে পারে। আসামে ম্যাসিভ বন্যা হয়েছে। তবে আসামের পানি ওইভাবে আসেনি, যেভাবে মেঘালয়ের পানিটা আসছে। মেঘালয় দিয়ে আসার কারণে একটা স্পেসিফিক জোনে পানিটা বেশি ছিল। আসাম ও ত্রিপুরার বৃষ্টির ইম্প্যাক্ট আমাদের এখানে সেভাবে পড়েনি।’
‘সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের বলে দেয়া হয়েছে। কিশোরগঞ্জ, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসকদের বলা হয়েছে- আসামের পানিটা এলে তোমরা রেডি থাকবা।’
প্রধানমন্ত্রী সিলেটে বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শনে যাচ্ছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সবার ছুটি বাতিল করা হয়েছে। উপজেলা পর্যায়ে সবাইকে বসে কর্মপরিকল্পনা করতে বলা হয়েছে।
‘ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। বিশেষ করে কৃষিমন্ত্রীকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে- এরপর যদি বন্যা হয়, ভাসমান বীজতলা এগুলো করার জন্য যেন প্রস্তুতি নেয়া হয়।’
আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘এবার বন্যায় যেভাবে পানি এসেছে তেমনটা ৫০-৬০ বছরের মধ্যে আসেনি। এটা ম্যানেজ করা টাফ। পানিটা এমনভাবে এসেছে যে কাউকে সুযোগ দেয়নি। আমাদের সৌভাগ্য যে শুরু থেকেই আমরা সমন্বিতভাবে কাজ করায় বড় ধরনের দুর্যোগ এড়ানো গেছে।
‘চারপাশে দেয়াল দিয়ে সুনামগঞ্জ সদরের সাড়ে সাত হাজার টন খাদ্য থাকা গুদাম রক্ষা করা হয়েছে। আরেকটি গুদামে সার ছিল, সেটিও আমরা রক্ষা করতে পেরেছি।
‘সিদ্ধান্ত হয়েছিল পানি নেমে যাওয়ার প্রয়োজনে রাস্তাগুলো কেটে দিতে হবে। তবে দেখা গেছে রাস্তা থেকে পাঁচ-ছয় ফুট ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। তাই রাস্তা কাটার প্রয়োজন নেই।’