জাতিসংঘে বাংলাদেশের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন মুহাম্মদ আব্দুল মুহিত। তিনি বর্তমান রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি রাবাব ফাতিমার স্থলাভিষিক্ত হবেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
রাবাব ফাতিমা গত ১০ জুন জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল বা হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ হিসেবে নিয়োগ পান। জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্টনিও গুতেরেস বাংলাদেশি দূতকে এই পদে নিয়োগ দেন।
কূটনীতিক মুহিত বিসিএস ১১তম ব্যাচের (পররাষ্ট্র ক্যাডার) কর্মকর্তা। বর্তমানে তিনি ভিয়েনায় বাংলাদেশ দূতাবাস ও স্থায়ী মিশনের দায়িত্ব ছাড়াও ‘সমদূরবর্তী রাষ্ট্রদূত’ হিসেবে হাঙ্গেরি, স্লোভেনিয়া ও স্লোভাকিয়ায় দায়িত্ব পালন করছেন।
পেশাদার এই কূটনীতিক ডেনমার্ক, এস্তোনিয়া ও আইসল্যান্ডে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি কুয়েত, রোম, দোহা, নিউ ইয়র্ক ও ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ মিশনে বিভিন্ন পদে কাজ করেছেন।
মুহিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। তিনি কুয়েত ইউনিভার্সিটি থেকে আরবি ভাষার ওপর একটি ডিপ্লোমা ডিগ্রি নেন। তিনি দুই সন্তানের জনক।
অন্যদিকে জাতিসংঘে রাবাব ফাতিমা স্বল্পোন্নত দেশ, স্থলবেষ্টিত উন্নয়নশীল দেশ এবং ক্ষুদ্র দ্বীপ দেশগুলোর হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ হিসেবে কাজ করবেন।
১৯৮৯ সালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগ দেয়া রাবাব ফাতিমা জ্যামাইকার কোর্টনি রাতারির স্থলাভিষিক্ত হবেন। দীর্ঘ কর্মজীবনে পেশাদার এই কূটনীতিক নিউ ইয়র্ক, কলকাতা, জেনেভা ও বেইজিংয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন।
নিউ ইয়র্কে স্থায়ী প্রতিনিধির দায়িত্ব নেয়ার আগে তিনি জাপানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ছিলেন। এ ছাড়া তিনি আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) ও কমনওয়েলথে কাজ করেছেন।
রাবাব ফাতিমা ফ্লেচার স্কুল অফ ল’ অ্যান্ড ডিপ্লোম্যাসি থেকে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ওপর মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। এ ছাড়া ক্যানবেরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি স্নাতক ডিগ্রি নেন।