গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় স্ত্রীর বিরুদ্ধে স্বামীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
কোটালীপাড়া উপজেলার কুশলা ইউনিয়নের ধোড়ার গ্রামে রোববার রাতে এ ঘটনা ঘটে। সোমবার নিহতের স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পুলিশ।
৪০ বছর বয়সী নিহত ফরিদ শেখ দীর্ঘদিন ধরে ঢাকার একটি হোটেলে বাবুর্চির কাজ করতেন।
ফরিদের বাবা ইয়ার আলী শেখ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার ছেলে ঢাকায় বাবুর্চির কাজ করত। করোনার সময় সে স্থায়ীভাবে বাড়িতে এসে থাকতে শুরু করে। বাড়ি আসার পর থেকে আমার পুত্রবধূ মুক্তা বেগমের সঙ্গে তার প্রায়ই ঝগড়া হতো। মুক্তা বিভিন্ন সময় আমার ছেলেকে হত্যার হুমকি দিত।
‘এ ঘটনায় আমার ছেলে কোটালীপাড়া থানায় জিডিও করেছিল। আমার ধারণা, মুক্তাই তার স্বামীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মুক্তার অত্যাচারে আমরা ফরিদের বাড়িতে থাকতে পারতাম না। পাশেই আরেকটি বাড়িতে থাকি। রোববার রাতে ফরিদের চিৎকার শুনে এসে দেখি, সে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। পাশে মুক্তা দাঁড়িয়ে।
‘ফরিদকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোররাতে ফরিদ মারা যায়।’
এ বিষয়ে কোটালীপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিল্লুর রহমান বলেন, ‘ফরিদকে কে বা কারা হত্যা করেছে সেটি এখনও জানা যায়নি। আমরা হত্যার কারণ ও হত্যাকারীকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি।’