পটুয়াখালীতে বুধবারের ভোটের ফলাফলে বিস্ময় যেন কাটছেই না।
জেলার আটটি ইউনিয়নের মধ্যে একটিতে ইসলামী আন্দোলনের হাতপাখা মার্কার প্রার্থীর জয়ের পাশাপাশি পাঁচটিতে দলটির নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে ওঠার বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে নানা ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ হাজির হচ্ছে।
এই আট ইউনিয়নে মোট ভোট পড়েছে ৭৯ হাজার ৫৫টি। এর মধ্যে নৌকায় পড়েছে ২৮ হাজার ৩৮৭টি। হাতপাখা প্রতীকে পড়েছে ১৮ হাজার ২৭৬টি।
এর মধ্যে ধুলারসর ইউনিয়নে নৌকার প্রায় দেড়গুণ ভোট পেয়ে জিতেছেন হাতপাখার আবদুর রহিম। ইটবাড়িয়া ইউনিয়নে পাঁচ হাজারের বেশি ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছে দলটি।
আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, তাদের প্রার্থী না থাকায় বিএনপি সমর্থকরা ভোট দিয়েছেন হাতপাখায়। যেখানে বিএনপির স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিল, সেখানেও তার অবস্থান ছিল দুর্বল। তার পাশেও ছিল না দলের কর্মী-সমর্থকরা।
তবে ইসলামী আন্দোলনের নেতারা বলছেন, তারা গত কয়েক বছরে পটুয়াখালীতে সাংগঠনিক শক্তি বাড়িয়েছেন অনেকটাই। তাদের ব্যাপক কর্মী তৈরি হয়েছে। ভোটের আগে তারা কেন্দ্রভিত্তিক পরিকল্পনা করে কাজ করেছেন। এর ফল মিলেছে ভোটে।
৮ ইউনিয়নের মধ্যে নৌকা জিতেছে পাঁচটিতে। দুটিতে জিতেছেন দল নিরপেক্ষ প্রার্থীরা। একটিতে জয় পেয়েছেন স্থানীয় এক বিএনপি নেতা। একটিতে জিতেছেন ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী।
যেসব ইউনিয়নে নৌকা হেরেছে, তার প্রতিটিতেই দলের বিদ্রোহী প্রার্থীরা অনেক ভোট নষ্ট করেছেন। নৌকার প্রার্থী ও বিদ্রোহী প্রার্থী মিলিয়ে ভোটসংখ্যা বিজয়ী প্রার্থীর চেয়ে বেশি হয়।
আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করার লক্ষ্যেই দলের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা কিছু দুর্নীতিবাজ লোক গোপনে কাজ করেছেন। আমি বিষয়টি লিখিতভাবে কেন্দ্রে জানাচ্ছি। কারা কারা আমার ইউনিয়নে নৌকার বিপক্ষে কাজ করেছে, কারা কারা অর্থ দিয়েছে, সব তালিকা আমার হাতে পৌঁছেছে। সবকিছু প্রমাণসহ আমি কেন্দ্রে পাঠাব।
ধূলারসর ইউনিয়নে পরাজয়ের নৌকার প্রার্থী মোদাচ্ছের হাওলাদার প্রচার চলাকালেই সাবেক এমপি মাহাবুবুর রহমান তালুকদারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে। তিনি উল্লেখ করেছেন, মাহবুবুর ও তার ভাই হাবিবুর রহমান নৌকাকে হারাতে বিদ্রোহী প্রার্থী শাহরিয়ার সবুজের পক্ষে কাজ করেছেন।
আ.লীগের বিভক্তিতে হাতপাখার জয়
কলাপাড়া উপজেলার ধুলারসর ইউনিয়নে এখানে আওয়ামী লীগের কোন্দলের ফসল ঘরে তুলতে বেগ পেতে হয়নি হাতপাখার প্রার্থীকে। এখানে প্রার্থী ছিলেন সাতজন। এদের মধ্যে হাতপাখা আর বিএনপির নেতা আনারস প্রতীকের প্রার্থী বাদে বাকি পাঁচ জন আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত। ভোটের আগে তাদেরকে দল থেকে বহিষ্কারও করা হয়েছিল।
নৌকা, ঘোড়া, মোটরসাইকেল, চশমা, অটোরিকশা প্রতীকের প্রার্থীরা সবাই মিলে মোট ভোট পেয়েছে ৫ হাজার ৭৫২। আর বিজয়ী হাতপাখার প্রার্থী পেয়েছেন ৪ হাজার ৩৭৩ ভোট।
কলাপাড়া উপজেলা সেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক কে এম সোহেল আনারস প্রতীকে এখানে পেয়েছেন ১ হাজার ৯০৭ ভোট।
এই ইউনিয়নটিকে ‘বিএনপির ঘাঁটি’ বলে দাবি করেন দলের নেতা-কর্মীরা। সেখানে সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ ভোটগ্রহণের পরেও দলের নেতার ভোট এত কম কেন?
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির এক সমর্থক জানান, নৌকা ঠেকাতে হাতপাখার দিকে ঝুঁকেছেন তারা।
পটুয়াখালী-৪ কলাপাড়া ও রাঙ্গাবালী আসনে আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি মাহবুবুর রহমান তালুকদারের গ্রামের বাড়ি পাশের ইউনিয়ন ধুলারসরে। বর্তমান এমপি মুহিবুর রহমানের গ্রামের বাড়িও একই এলাকায়।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা এবিএম মোশাররফ হোসেন এবং মনিরুজ্জামানেরও গ্রামের বাড়িও ওই ইউনিয়নে। সেখানে হাতপাখার প্রার্থীর এত শক্ত অবস্থান তৈরির পেছনে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ- দুই দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলকেই দায়ী করা হচ্ছে।
ভোটের আগে সাবেক এমপি মাহবুবুর রহমান তালুকদার লতাচাপলি ইউনিয়নের নৌকার প্রার্থীর পক্ষে গণসংযোগ করলেও ধুলারসর ইউনিয়নে তিনি নৌকার প্রার্থীর পক্ষে এক দিনের জন্যও গণসংযোগ করেননি। বরং সেখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহরিয়ার সবুজের আনারসের প্রতীকের পক্ষে গোপনে তৎপরতা চালিয়ে গেছেন-এমন অভিযোগ খোদ দল থেকেই পাওয়া গেছে।
তবে বর্তমান এমপি মুহিবুর রহমান বলেন, ‘আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করার লক্ষ্যেই দলের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা কতিপয় দুর্নীতিবাজ লোক গোপনে কাজ করেছেন। আমি বিষয়টি লিখিতভাবে কেন্দ্রে জানাচ্ছি। কারা কারা আমার ইউনিয়নে নৌকার বিপক্ষে কাজ করেছে, কারা কারা অর্থ দিয়েছে সব তালিকা আমার হাতে পৌঁছেছে। সবকিছু প্রমাণসহ আমি কেন্দ্রে পাঠাব।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সব প্রার্থী মিলে পাঁচ হাজারেরও বেশি ভোট পেয়েছে। যদি এখান থেকে সবাই মিলে নৌকাকে সমর্থন দিত, তাহলে আমাদের বিজয় সুনিশ্চিত ছিল।’
কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনজুরুল আলম বলেন, ‘ধুলারসরে হাতপাখার সাংগঠনিক অবস্থা নাই বললেই চলে। নির্বাচনের আগে যখন বিএনপি স্বতন্ত্র প্রার্থীর পরাজয় টের পাওয়া গেছে, তখন তাদের নেতা-কর্মীরা হাতপাখাকে ভোট দিয়েছে।
‘তারপরও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা মাঠে না থাকলে সেখানে নৌকার জয় সুনিশ্চিত ছিল। কারণ আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোট আর নৌকার ভোট একত্রিত করলে যে ভোট হয় তা কিন্তু হাতপাখা আর বিএনপি প্রার্থীর ভোট যোগ করলেও সমান হয় না।’
প্রতিদ্বন্দ্বী কোনো শক্ত প্রার্থী না থাকায় আমাদের নৌকার প্রার্থী প্রথমে অনেক গা ছাড়া ভাব দেখিয়েছে। মনে করেছিল যে, নৌকা এমনিতেই জিতে যাবে। তারা এই সুযোগটা কাজে লাগিয়েছে। হাতপাখার এত বেশি ভোট পাওয়া এটাও আরেকটি অন্যতম কারণ।
ফোনে যোগাযোগ করা হলে সাবেক এমপি মাহবুবুর রহমান তালুকদার বলেন, ‘আমি যেহেতু শেখ হাসিনার কর্মী সেহেতু নৌকার পক্ষে তো কাজ করবই।’
অনেকেই অভিযোগ করেছেন ধুলারসরে আপনি বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে গোপনে কাজ করেছেন এবং সে কারণে নৌকা হেরেছে- এমন প্রশ্নে মাহবুবুর বলেন, 'এটি কোনো প্রশ্ন হলো? এসব বিষয়ে আমি টেলিফোনে মিডিয়ার সামনে কিছু বলব না।'
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর কেন্দ্রের নির্দেশে তৃণমূলের মতামতের ভিত্তিতে প্রার্থীদের তালিকা করে কেন্দ্রে পাঠানোর দাবি করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আলমগীর হোসেন। তিনি বলেন, ‘নৌকা দিয়েছে কেন্দ্র। সেখানে আমার কোনো হাত নাই। নৌকা যারা পেয়েছে তাদের বিজয়ী করার জন্য আমার নেতৃত্বে জেলা আওয়ামী লীগের অন্য নেতারা দিনরাত সমানতালে গণসংযোগ, উঠান বৈঠক চালিয়েছি। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে যাতে ভোটগ্রহণ হয়, সে জন্য আমাদের পক্ষ থেকে প্রশাসনকেও সব ধরনের সহায়তা করা হয়েছে।
‘নৌকার বিরুদ্ধে যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে তাদের দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আর কখনও তারা দলে আসতে পারবে না। দলের মধ্যে যদি কেউ ঘাপটি মেরে নৌকাকে হারাতে ইন্ধন দিয়ে থাকে, সেটি আমরা যাচাই করে দেখে তথ্য-প্রমাণ পেলে কেন্দ্রে পাঠিয়ে দেব।’
অন্য পাঁচ ইউনিয়নেও হাতপাখার চমক
সদর উপজেলার ইটবাড়িয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ ও ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী ছাড়াও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ফরিদ উদ্দিন সিকদার এবং কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেনের ছোট ভাই কামাল হোসেন মনোনয়নপত্র জমা দেন।
মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনের আগেই কামাল হোসেন তার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করলেও ফরিদ উদ্দিন সিকদার মাঠে থেকে যান। তার জন্য আনারস প্রতীক বরাদ্দ হয়।
নৌকার সঙ্গে আনারসের তুমুল লড়াই হবে- এমন গুঞ্জনের মধ্যে দুই দিনের মাথায় ফরিদ ভোট থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। তবে তখন প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সুযোগ ছিল না বলে ব্যালটে তার প্রতীক থেকে যায়।
ভোট শেষে দেখা যায় ফরিদের আনারসে ভোট পড়েছে ২৪৩টি। সেখানে হাত পাখার প্রার্থী জাকারিয়া হাওলাদার পান ৫ হাজার ৭৫৬ ভোট। এই মার্কায় এত ভোট কীভাবে এলো, এ নিয়ে প্রশ্ন ঘুরে বেড়াচ্ছে।
যে ইউনিয়নে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হাসান সিকদার, জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান এবং কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় এক নেতাসহ আরও অনেকের বাড়ি, সেখানে নৌকার বিপরীতে ছোট দলের প্রার্থীর এত ভোট কীভাবে এলো?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা-কর্মী জানান, অনেক নেতা-কর্মীই দলীয় প্রতীকের বদলে কাজ করেছেন হাতপাখার পক্ষে। তারা ‘দিনে নৌকা, রাতে হাতপাখা’ এই নীতিতে ছিলেন।
দুই বছর আগে ইউনিয়নের ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডকে পৌরসভার সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এরপর থেকে নৌকা প্রার্থীর মোজাম্মেল হোসেন সেসব ওয়ার্ডে যাননি। উন্নয়নও হয়নি সেখানে। ওই তিন ওয়ার্ডে সাধারণ ভোটাররা হাতপাখার পক্ষে রায় দিয়েছে।
নৌকার প্রার্থীর খুব কাছের এক কর্মী বলেন, ‘প্রতিদ্বন্দ্বী কোনো শক্ত প্রার্থী না থাকায় আমাদের নৌকার প্রার্থী প্রথমে অনেক গা ছাড়া ভাব দেখিয়েছে। মনে করেছিল যে, নৌকা এমনিতেই জিতে যাবে। তারা এই সুযোগটা কাজে লাগিয়েছে। হাতপাখার এত বেশি ভোট পাওয়া এটাও আরেকটি অন্যতম কারণ।’
তবে ইসলামী আন্দোলনের জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা অহিদুজ্জামান বলেন, ‘মূলত এখানকার চেয়ারম্যানের বিগত দিনের কার্যক্রমে সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ ছিল। তিনি সপ্তাহে দুই দিন এলাকায় আসতেন। বাকি সময় ঢাকায় থাকতেন। আরও অনেক কারণে সেখানকার মানুষ আমাদের দিকে ঝুঁকছে।’
শহরসংলগ্ন মৌকরন ইউনিয়নে ৩ হাজার ৭৭৯ ভোটের ব্যবধানে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে নৌকার প্রার্থী হেরেছেন। এখানে হাতপাখা পেয়েছে ৭৪০ ভোট।
সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য কাজী কানিজ সুলতানা হেলেনের চাচাতো ভাইয়ের ছেলে কাজী রাইসুল ইসলাম আনারস প্রতীক নিয়ে ৪ হাজার ৮৯২ ভোট পেয়ে জিতেছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম বশির আহম্মেদ নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১ হাজার ১১৩ ভোট।
পাশের ইউনিয়ন লাউকাঠিতে একসময়ের বিএনপি নেতা ইলিয়াস বাচ্চু টেলিফোন প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ২ হাজার ৯১৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন হাতপাখার প্রার্থী ইদ্রিস আলী। তিনি পেয়েছেন ১ হাজার ৮৬৭ ভোট।
এখানে নৌকার প্রার্থী আশিষ কুমার চক্রবর্ত্তী ১ হাজার ৩৪৯ ভোট পেয়ে চতুর্থ হয়েছেন। আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতা আবুল বাশার সোহাগ ১ হাজার ৮০৫ ভোট পেয়ে রয়েছেন তৃতীয় স্থানে।
স্থানীয়দের মতে, ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন না করে নৌকা প্রতীক দেয়ায় ভুলের কারণে ভরাডুবি হয়েছে এখানে। যদি এখানে আবুল বাশার সোহাগকে নৌকা প্রতীক দেয়া হতো, তাহলে নৌকার বিজয় হতে পারত।
কারণ নৌকা আর বিদ্রোহী প্রার্থী মিলে এখানে পেয়েছে ৩ হাজার ১৫৪ ভোট, যা বিজয়ী প্রার্থীর চেয়ে অনেক বেশি।
সদর উপজেলার জৈনকাঠিতে নৌকার প্রার্থী সৈয়দ মোহাম্মদ মোহসিন ভোট পেয়েছেন ২ হাজার ৯৭২টি। এখানে হাতপাখার প্রার্থী সিদ্দিকুর রহমান ভোট পেয়েছেন ১ হাজার ৬১৭ ভোট।
কলাপাড়া উপজেলার লতাচাপলিতে ৬ হাজার ১১৩ ভোট পেয়ে জিতেছেন নৌকার আনসার উদ্দিন মোল্লা। হাতপাখার প্রার্থী মোসলেম মুসল্লি ভোট পেয়েছেন ৩ হাজার ৩৭৫টি। তিনি সেখানে তৃতীয় হয়েছেন।
দশমিনা উপজেলার চরবোরহানে নৌকার প্রার্থী নজির সরদার জিতেছেন ১ হাজার ৮২১ ভোট পেয়ে। এখানে হাতপাখার সাইফুল ইসলাম মুন্সী পেয়েছেন ৫৩৯ ভোট।
অন্য একটি আসনে হাতপাখার প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়েছে।