রংপুরের পীরগাছায় অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ও দুই সন্তানকে পিটিয়ে এক ব্যক্তি আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। আহত স্ত্রী-সন্তানদের হাসপাতালে নেয়ার পর মারা গেছে বড় সন্তান।
পীরগাছার ৮ নম্বর কৈকুড়ি ইউনিয়নের মোংলা কুটি গ্রামে রোববার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মেয়েটির নাম রাফিয়া। তার বয়স ১১ বছর। তার মা ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা জেসমিন আক্তার ও ৩ বছর বয়সী বোন সুমাইয়া গুরুতর আহত অবস্থায় রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি। তার বাবা রশিদুল ইসলামও সেখানে ভর্তি।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে পীরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরেশ চন্দ্র।
পীরগাছা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আশরাফুল আলম পলাশ জানান, রশিদুল ইসলামের সঙ্গে ২০০৮ সালে জেসমিন আক্তারের বিয়ে হয়। স্থানীয়রা জানান, ১৫ দিন আগে থেকে এলোমেলো কথা বলছিলেন রশিদুল। রোববার সন্ধ্যা ৭টার দিকে তিনি দা দিয়ে স্ত্রীকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করেন। তার বড় মেয়ে রাফিয়াকেও কুপিয়ে আঘাত করেন। এরপর ছোট মেয়ে সুমাইয়াকে মারধর করেন।
এএসপি আশরাফুল জানান, ওই ঘটনার পর বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন রশিদুল। তাকে পুলিশ হেফাজতে হাসপাতালে রাখা হয়েছে।