বলাৎকারে বাঁধা দেয়ায় চট্টগ্রামের মাদ্রাসার সেই শিশু ছাত্রকে হত্যা করে মাদ্রাসার দুই কিশোর ছাত্র- তদন্তের পর এ তথ্য পাওয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
গত ৫ মার্চ বোয়ালখালীর চরণদ্বীপ আল্লামা শাহ অছিয়র রহমান হেফজখানা ও এতিমখানা থেকে ৬ বছরের শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তদন্ত শেষে রোববার ওই মাদ্রাসার দুই কিশোর ছাত্রকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই। হত্যায় ব্যবহার হওয়া ছুরিও জব্দ করে।
পিবিআই চট্টগ্রামের পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম এসব তথ্য নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, আটক কিশোরদের বয়স ১৫। ওই মাদ্রাসায় জ্যেষ্ঠ ছাত্ররা ছোট ছাত্রদের বলাৎকার করত- এমন বেশ কিছু ঘটনা সামনে এসেছে। গত ৪ মার্চ ছুটি শেষে বাড়ি থেকে মাদ্রাসায় যায় ওই শিশু। বাড়ি থেকে খাবার নিয়ে গিয়েছিল সে। সেই খাবার জ্যেষ্ঠ কয়েক ছাত্র কেড়ে নিয়ে খেয়ে ফেলে। এ বিষয়টি বড় ভাইকে ফোন করে সে জানায়। এতে ক্ষিপ্ত হয় ওই দুই কিশোর ছাত্র।
পিবিআই কর্মকর্তা সিরাজুল জানান, ঘটনার দিন শিশুটিকে মাদ্রাসার দ্বিতীয় তলার কক্ষে ডেকে নিয়ে বলাৎকারের চেষ্টা করে এক কিশোর। তাতে বাধা দিলে ও ঘটনা জানিয়ে দেয়ার হুমকি দিলে শিশুটিকে দেয়ালে দিকে ধাক্কা দেয় কিশোরটি। মাথায় আঘাত পেয়ে সে অচেতন হয়ে পড়ে। ওই অবস্থাতেই তার গলায় ছুরি চালায় কিশোরটি। তাতে সহযোগিতা করে আরেক কিশোর। মৃত্যু নিশ্চিত হলে তারা দুজন মিলে শিশুর মরদেহ লুকিয়ে রেখে তারা নিচে চলে যায়।
সিরাজুল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা শুরুতে মাদ্রাসার দুজন শিক্ষার্থীকে শনাক্ত করি। তারা ঘটনার সময় দোতলায় উঠে ওই দুই কিশোরকে দেখেছিল। তাদের কথামতো আমরা ওই দুজনের বিষয়টি নিশ্চিত হই। তাছাড়া ঘটনার পর দুই কিশোরের একজন হত্যা ব্যবহার করা ছুরিটি নিজের ট্রাংকে লুকিয়ে রাখে। তার কথায় সেখান থেকে সেটি জব্দ করি আমরা।’