ভোলার লালমোহনে সালিশে দুই পক্ষের কাছে ঘুষ চেয়ে মার খেয়েছেন ধলিগৌরনগর ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. লোকমান হোসেন। তার গায়ে গোবর ও জুতা ছুঁড়ে মেরেছেন এক বিচারপ্রার্থী।
ধলিগৌরনগর ইউনিয়নে চতলা বাজারে শুক্রবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।
বিচারপ্রার্থী মুহিব বলেন, ‘মেম্বার লোকমানকে শ্যালকের পরিবারের একটি সমস্যার কথা জানাই। বিষয়টি ফয়সালা করার জন্য তিনি মোটা অঙ্কের ঘুষ দাবি করেন। তার দাবি করা টাকা পুরোপুরি পরিশোধ করতে না পারায় প্রতিপক্ষের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে তিনি উল্টা বিচার করেন। শ্যালকের পরিবারকে চাপ সৃষ্টি করেন মেম্বার।
‘ওই ঘটনা নিয়ে লোকমানের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় তিনি মোটরসাইকেল নিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে আমি পেছন থেকে তার গায়ে গোবর ও জুতা নিক্ষেপ করতে বাধ্য হই।’
এ বিষয়ে লোকমান বলেন, ‘শুক্রবার সন্ধ্যায় চাতলা বাজার দিয়ে হোন্ডা চালিয়ে আসার সময় মুহিব পেছন থেকে আমার ওপর হামলা চালায়। সে আমার গায়ে গোবর নিক্ষেপ করেছে। এক সালিশ বৈঠকে মুহিবের শ্যালকের পরিবারের পক্ষে রায় না দেয়ায় আমার ওপর হামলা চালায় সে।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি দাবি করেছেন, সালিশের কথা বলে দুই পক্ষের সঙ্গেই চুক্তি করে ঘুষ চান ইউপি সদস্য লোকমান হোসেন। যে পক্ষ ঘুষ পরিশোধ করতে পারে সেই পক্ষকে অনৈতিকভাবে জিতিয়ে দিতে মরিয়া হয়ে কাজ করেন তিনি।
এ বিষয়ে লালমোহন থানার ওসি (তদন্ত) মো. এনায়েত হোসেন জানান, এ ঘটনায় এখনও কেউ লিখিত কোনো অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।