গাজীপুরের কাপাসিয়ায় দুই মেয়েকে নিয়ে শীতলক্ষ্যা নদীতে ঝাঁপ দিয়েছেন এক নারী- এমন খবরে সেখানে উদ্ধারকাজ চালিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। বাহিনীর ডুবুরি দল যাওয়ার আগেই স্থানীয়রা ৯ বছরের শিশুকন্যাকে নদী থেকে জীবিত উদ্ধার করেছে। সে-ই জানিয়েছে মায়ের ঝাঁপ দেয়ার কথা।
উপজেলার সিংহশ্রী এলাকায় রোববার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
কাপাসিয়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) সাবেদ আলী খান উদ্ধারকাজের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘উদ্ধার হওয়া শিশু ও এলাকাবাসীর দেয়া তথ্য অনুযায়ী শীতলক্ষ্যায় এখনও মা ও মেয়ে নিখোঁজ রয়েছে। টঙ্গী থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল গিয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত কাজ করেছে। সোমবার সকাল থেকে আবার উদ্ধারকাজ শুরু হবে।’
সিংহশ্রী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার পারভেজ জানান, উদ্ধার শিশুর বয়স ৯; তার নাম তাহমিদা আক্তার। তার মা আরিফা আক্তার ও ছোট বোন ৭ বছরের মুর্শিদা আক্তার নদীতে নিখোঁজ। তাহমিদাকে স্থানীয় জেলেরা উদ্ধার করেছে।
উদ্ধার হওয়া শিশু তাহমিদা চেয়ারম্যানকে জানায়, সকালে মা জুতো, শিঙাড়া ও জামা-কাপড় কিনে দেয়ার কথা বলে তাকে ও ছোট বোনকে নিয়ে বাজারের উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হয়। শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে পৌঁছে তাদের নিয়ে মা নদীতে ঝাঁপ দেয়। তবে মায়ের হাত ফসকে গেলে তাহমিদা নদীতে থাকা একটি বাঁশের মাচা ধরে ভেসে থাকে।
চেয়ারম্যান আনোয়ার জানান জানান, আরিফার বাড়ি কাপাসিয়া উপজেলার রায়েদ ইউনিয়নের বিবাদিয়া গ্রামে। তার স্বামী আব্দুল মালেক বেঁচে নেই।
তিনি বলেন, ‘দুপুর ১টার দিকে স্থানীয়রা শীতলক্ষ্যা নদীতে মা-মেয়ে নিখোঁজের বিষয়টি ফোন করে জানায়। এ সময় নদীর তীরে বাঁশের মাচা ধরে রাখা অবস্থায় ৯ বছরের তাহমিদাকে উদ্ধার করা হয়েছে।
ওই নারী মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন বলে জানিয়েছে পরিবার। তিনি কেন এখানে এসেছেন, আর পানিতেই কেন নেমেছেন তার কারণ জানা যায়নি।’
আরিফার ভাই মোজাম্মেল হোসেন জানান, তার স্বামী মারা যায় ২০২০ সালে। এরপর থেকেই আরিফা মানসিক ভারসাম্যহীন। তাহমিদাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে নেয়া হয়েছে।