বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিতর্ক এড়াতে কুমিল্লা ভোটের কেন্দ্রভিত্তিক ফল প্রকাশ

  •    
  • ১৯ জুন, ২০২২ ২১:২৮

নির্বাচনে মেয়র প্রার্থীদের ইভিএম থেকে মুদ্রিত সব কেন্দ্রের ফলাফল এবং প্রার্থীর এজেন্ট এবং প্রিসাইডিং অফিসার এর স্বাক্ষরিত ফলাফলের কপি (ফরম-ঞ) কমিশনের ওয়েবসাইটে (www.ecs.gov.bd) আপলোড করা হয়েছে।

কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের শেষের চারটি কেন্দ্রের ফল প্রকাশ নিয়ে বিতর্ক অবসানে কেন্দ্রভিত্তিক ফলাফল প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

রোববার বিকেলে ইসি ওয়েবসাইটে এ ফলাফল প্রকাশ করা হয়। নির্বাচন কমিশনের জনসংযোগ পরিচালক ও যুগ্ম সচিব আসাদুজ্জামান আরজু স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সব তথ্য জানানো হয়।

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কেন্দ্রভিত্তিক ইভিএমের ফলাফল, প্রার্থীদের এজেন্টদের স্বাক্ষরিত ফলাফলের বার্তাশিটে কপি ওয়েবসাইটে দিয়ে দিয়েছি। যাদের সন্দেহ আছে, তারা এখন যাচাই করে দেখতে পারবেন।’

নির্বাচনে মেয়র প্রার্থীদের ইভিএম থেকে মুদ্রিত সব কেন্দ্রের ফলাফল এবং প্রার্থীর এজেন্ট এবং প্রিসাইডিং অফিসার এর স্বাক্ষরিত ফলাফলের কপি (ফরম-ঞ) কমিশনের ওয়েবসাইটে (www.ecs.gov.bd) আপলোড করা হয়েছে।

গত বুধবার কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট নিয়ে দিনভর কোনো অভিযোগ ছিল না। তবে ফলাফল ঘোষণার একেবারে শেষ সময়ে হট্টগোল তৈরি হয়। ১০০টি কেন্দ্রের ফল ঘোষণার পর সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু ছয় শতাধিক ভোটে এগিয়ে ছিলেন।

এরপর হট্টগোলের মধ্যে পাঁচটি কেন্দ্রের ফল ঘোষণার পর দেখা যায় তিনি হেরে গেছেন, জিতেছেন নৌকা প্রতীকের আরফানুল হক রিফাত।

তাৎক্ষণিকভাবে সাক্কু দাবি করে, রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহেদুন্নবী চৌধুরী ওপরের মহলের সঙ্গে কথা বলে ফল পাল্টে দিয়েছেন।

তবে পরে দেখা যায়, যে চারটি কেন্দ্রের ফল একেবারে শেষে প্রকাশ হয়েছে, সেগুলোর কেন্দ্রঘোষিত ফলের সঙ্গে রিটার্নিং কর্মকর্তার ঘোষিত ফলে কোনো পার্থক্য নেই।

এই চারটি ফলের মধ্যে একটি নৌকার শক্তিশালী অবস্থান থাকে সব সময়। একটিতে কোনো একক দলের প্রাধান্য নেই। দুটিতে বিএনপির প্রার্থীরা বিজয়ী হন। তবে এবার বিএনপি সংশ্লিষ্ট দুই জন প্রার্থী থাকায় তাদের মধ্যে ভোট ভাগাভাগির সুযোগ নিয়ে জিতেছে নৌকা।

তাছাড়া সাক্কুর প্রধান নির্বাচনি সমন্বয়ক জানিয়েছেন, সেই চার কেন্দ্রের ফল তাদের এজেন্টরা নিয়ে এসেছেন। কেন্দ্রের ফলের সঙ্গে ঘোষিত ফলের কোনো পার্থক্য নেই।

ইসির জনসংযোগ শাখা থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘গত ১৫ জুন অনুষ্ঠিত কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সময় উত্তীর্ণ হওয়ার পর রিটার্নিং অফিসারের পক্ষ থেকে বেসরকারি ফলাফল প্রকাশের শেষ পর্যায়ে দুই প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে হঠাৎ করে উত্তেজনা, স্লোগান-পাল্টা স্লোগান ও হাতাহাতি হলে বিশৃঙ্খল অবস্থার সৃষ্টি হয়। এতে রিটার্নিং অফিসার নির্বিঘ্নে চূড়ান্ত ফল প্রকাশে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছিলেন।

‘পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দ্রুত হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়। কোনো কোনো (সকল নয়) পত্র-পত্রিকার নিবন্ধ এবং সোস্যাল মিডিয়াতে বক্তারা এই সময়কে এক বা দেড় ঘণ্টার বিলম্ব বলে রহস্য, অঘটন ইত্যাদির ইঙ্গিত করার চেষ্টা করেছেন। বিষয়টি মোটেই তা ছিল না। বিরাজিত অবস্থায় চূড়ান্ত ফল প্রকাশে উল্লখিত কারণে কম-বেশি ১৫/২০ মিনিট বিলম্ব হয়েছিল।’

এতে আরও বলা হয়, ‘মাত্র ৩৪৩ ভোটে পরাজিত প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কুর পক্ষে জনৈক ব্যক্তি ফলাফল ঘোষণার চূড়ান্ত পর্যায়ে একটি টেলিফোন কলে ফলাফল পাল্টে দেয়া হয়েছে মর্মে বক্তব্য দিয়েছেন। এতে জনমনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করে অনাকাঙ্খিত বিতর্ক সৃষ্টির অপপ্রয়াস হয়েছে। ‘ফলাফল প্রকাশের শেষ পর্যায়ে ইভিএমে ধারণকৃত ফলাফল পাল্টে দেয়া কোনোভাবেই সম্ভব নয়।’

নির্বাচন কমিশন বলছে, ‘কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ১০৫ টি কেন্দ্রের ফলাফল কেন্দ্রেই ঘোষণা করা হয়েছে এবং কেন্দ্রভিত্তিক ইভিএম থেকে মুদ্রিত ফলাফল এবং প্রার্থীগণের এজেন্টগণ এবং প্রিজাইডিং অফিসারগণ কর্তৃক স্বাক্ষরিত ফলাফলের সকল কপি প্রার্থীদের এজেন্টগণকে সরবরাহ করা হয়েছে। পরবর্তীতে প্রিজাইডিং অফিসার নিজে রিটার্নিং অফিসারের নিকট এসে একটি কপি সরবরাহ করেন।

‘রিটার্নিং অফিসার একত্রিকরণ করে ফলাফল ঘোষণা করেন।’

কমিশন চলছে, নির্বাচনকে নির্বিঘ্ন ও স্বচ্ছ করতে প্রথমবারের মতো প্রতিটি কেন্দ্রে সিসিটিভি ব্যবহার করা হয়েছে। নির্বাচনকে অধিকতর নিরপেক্ষ করতে সিটি করপোরেশন এলাকায় কর্মরত নির্বাচন কর্মকর্তাদের নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব না দিয়ে বাইরে থেকে কর্মকর্তাদের সাময়িকভাবে এনে নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল।

নির্বাচন শান্তিপূর্ণ পরিবেশে হয়েছে উল্লেখ করে কমিশন বলছে. ‘সহিংসতার কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। ভোটারদের উপস্থিতি ও অংশগ্রহণ চোখে পড়ার মতো ছিল।’

৫৯ শতাংশ ভোটের হারকে কেউ কেউ কম বলে গণমাধ্যমে সমালোচনা করেছেন উল্লেখ করে এতে বলা হয়, ‘ইভিএমে কারও পক্ষে দুই বার বা অপরের ভোট প্রদান করা কোনোভাবেই সম্ভব নয় বিধায় ব্যালটে ভোটের চেয়ে কম হতে পারে।’

এ বিভাগের আরো খবর