দেশে নদী দূষণের সঙ্গে সম্পর্কিত পরিবেশগত, স্বাস্থ্যগত এবং অর্থনৈতিক বার্ষিক ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক ২৮৩ কোটি ডলার। এ পরিস্থিতি নিরসনে কোনো কার্যকরী উদ্যোগ না নেয়া হলে, নদী দূষণের কারণে মোট আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ আগামী ২০ বছরে ৫ হাজার ১০০ কোটি ডলারে পৌঁছাবে।
রোববার সিরডাপ মিলনায়তনে ‘দূষণে বিপর্যস্ত ঢাকার নদ-নদী: সমস্যা ও সমাধান’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানান জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, নদী দূষণের সাথে সম্পর্কিত পরিবেশগত, স্বাস্থ্যগত এবং অর্থনৈতিক বার্ষিক ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক ২৮৩ কোটি ডলার। এ পরিস্থিতি নিরসনে কোনো কার্যকরী উদ্যোগ না নেয়া হলে, নদী দূষণের কারণে মোট আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ আগামী ২০ বছরে ৫ হাজার ১০০ কোটি ডলারে পৌঁছাবে।’
ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘কমিশনের সরেজমিন পরিদর্শনের তথ্য থেকে জানা যায়, বুড়িগঙ্গা নদীর ২৫৮টি পয়েন্ট দিয়ে গৃহস্থালি পয়ঃবর্জ্য ও শিল্পবর্জ্য সরাসরি নদীতে পড়ছে। তুরাগ নদের ২৬৯টি এবং বালু নদের ১০৪টি ও টঙ্গী খালের ৬২টি পয়েন্ট দিয়ে কঠিনবর্জ্য এবং পয়ঃবর্জ্য নিঃসরিত হচ্ছে। এ ছাড়া অনেক দূষণ পয়েন্ট রয়েছে।’
মতবিনিময় সভায় নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘দেশের বিভাগ, জেলা, উপজেলা পর্যায়ে নদী রক্ষা কমিটিকে আরও বেশি সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। নদী-নালা, খাল-বিল রক্ষা করে দেশকে রক্ষা করতে হবে।’
সভায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল বলেন, ‘আমরা আর একদিনও সময় নষ্ট করতে চাই না। জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন তথ্য চাইলে সে তথ্য কেন দেয়া হয় না সে বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।’
মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার। সঞ্চালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সেন্টার ফর গর্ভনেন্স স্টাডিজের নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান, সমন্বয়ে ছিলেন কমিশনের উপপ্রধান এম এম মহিউদ্দিন কবীর মাহিন।