২ ঘণ্টার বৃষ্টিতে আবারও জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে।
রোববার বিকেলে নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, দুই নম্বর গেট, জিইসি, চকবাজার, কাতালগঞ্জ, শমশেরপাড়া, বাকলিয়া, হালিশহর, আগ্রাবাদ এলাকা পানিতে ভাসছে।
জলাবদ্ধতার কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হওয়া সাধারণ মানুষ। ব্যাঘাত ঘটছে যান চলাচলে। এতে নগরীর বিভিন্ন সড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
নগরীর খুলশী এলাকার বাসিন্দা আব্দুস সবুর নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি খুলশী থেকে মেডিক্যাল সেন্টারের দিকে যাচ্ছিলাম। কিন্তু জিইসি এসে দেখি এখানে পানি। রিকশাও বরাবরের মতো ভাড়া বেশি চাচ্ছে।’
রিয়াজ ইবনুর নামে আরেকজন বলেন, ‘কোটি কোটি টাকা জলাবদ্ধতা নিরসনে খরচ হয়। কিন্তু জলাবদ্ধতা তো যায় না। বৃষ্টি হলে জলাবদ্ধতা হবেই হবে। তাহলে টাকাটা যায় কোথায়?’
রোববার বেলা ৩টা থেকে ৭৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে নগরীর আমবাগান আবহাওয়া অফিসে। অফিস পর্যবেক্ষক মুন্নি আক্তার বলেন, ‘গতকাল সন্ধ্যা ৬টা থেকে আজ ৬টা পর্যন্ত ১০৩ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এর মধ্যে বেলা ৩টা থেকে বিকেল ৬টা পর্যন্ত ৭৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় এই বৃষ্টিপাত, এটা মূলত সিজনাল।’
এদিকে রোববার বিকেলে বৃষ্টির পর চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের নিচতলার পানি আরও বেড়েছে। হাসপাতালের বাইরেও পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রথম পানি জমার আগেই নিচতলার সব সেবা নতুন ভবনে স্থানান্তর করা হয়েছে বলে জানান হাসপাতালের পরিচালক ডা. নুরুল হক।