বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নের তোয়াক্কা না করে নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু নির্মাণ সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে বিজয় বলে মন্তব্য করেছেন ক্ষমতাসীন ১৪ দলীয় জোটের নেতারা।
শনিবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে কেন্দ্রীয় ১৪ দল আয়োজিত সমাবেশে নেতারা এ কথা বলেন।
তারা বলেন, উন্নয়নশীল দেশগুলো বিশ্বব্যাংকের দিকে তাকিয়ে থাকে সাহায্যের জন্য। সেই বিশ্বব্যাংককে ফিরিয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করে সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে বিজয় অর্জন করেছেন।
সমসাময়িক ইস্যুতে ক্ষমতাসীন কেন্দ্রীয় ১৪ দলের পক্ষ থেকে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন আমির হোসেন আমু।
জোটের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু বলেন, ‘কোনো বিদেশি শক্তির বল আওয়ামী লীগের শক্তি নয়। বাংলার মানুষই হচ্ছে আওয়ামী লীগের শক্তির ভিত্তি। বঙ্গবন্ধু-কন্যা সাম্রাজ্যবাদের প্রতিভূ বিশ্বব্যাংককে তোয়াক্কা না করে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের মধ্য দিয়ে প্রমাণ করেছেন বাঙালি জাতি যা দীক্ষা করে, তা করে।’
সমাবেশ শেষে ২৫ জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধনকে স্বাগত জানিয়ে আনন্দ মিছিল বের হয়। মিছিলটি বঙ্গবন্ধু এভিনিউ থেকে শুরু হয়ে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
আমির হোসেন আমু বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যার নেতৃত্বে আরেকটি বিজয় আমরা অর্জন করেছি। ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে সেই বিজয় উদযাপন হবে।’
বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘তারা শুধু পদ্মা সেতুর বিরোধিতা করেনি; পঁচাত্তরের হাতিয়ারের কথা বলে তার আবার প্রমাণ করল পঁচাত্তরের সেই নৃশংস হত্যাকারীদের সঙ্গে জিয়াউর রহমান জড়িত ছিল।’
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘২০২৪ সালের জানুয়ারিতে নির্বাচন হবে এবং সেই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বাঙালি তার অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখার স্বার্থে শেখ হাসিনাকে পুনরায় নির্বাচিত করবে।’
সভায় ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘যখন পদ্মা সেতু উদ্বোধন হতে যাচ্ছে তখন এর বহু দাবিদার বেরিয়ে আসছে। একজন বলছেন ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন, একই দলের আরেকজন বলছেন ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু আমরা ইচ্ছা প্রকাশ করিনি, ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন শেখ হাসিনাই। আজ বাংলাদেশের মানুষের সামনে পদ্মা সেতু বাস্তব। আর দক্ষিণবঙ্গের মানুষের জন্য সবচেয়ে বেশি আনন্দের, সবচেয়ে বেশি উৎসবের, উদযাপনের।’
শেখ হাসিনার সাহসী নেতৃত্বে পদ্মা সেতুর স্বপ্নপূরণ সম্ভব হয়েছে জানিয়ে রাশেদ খান মেনন বলেন, বাংলাদেশ এমনিভাবেই এগিয়ে যাবে। বাংলাদেশের মানুষকে কেউ রুখতে পারেনি, আগামীতেও পারবে না। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথিবীর মানুষের সামনে বাঙালি জাতিকে নিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকবেন।’
আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রমের পরিচালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া প্রমুখ।