বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কুমিল্লায় জামানত হারান ৫২ প্রার্থী

  •    
  • ১৮ জুন, ২০২২ ১৯:৩৮

কাউন্সিলর পদে প্রার্থীদের অনেকেই পরিবার ও আত্মীয়স্বজনের ভোটই পাননি। দুই অঙ্কের ঘরে সীমাবদ্ধ তাদের প্রাপ্ত ভোট। তারা সবাই জামানত হারিয়েছেন। নির্বাচনের গেজেট প্রকাশ হলেই এই অর্থ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা হবে।

কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে দুই প্রার্থীসহ সংরক্ষিত নারী ও সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ভোট করা ৫২ জন জামানত হারালেন।

মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জামানত হারাতে যাচ্ছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের রাশেদুল ইসলাম ও স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল আহসান বাবুল।

কাউন্সিলর পদে প্রার্থীদের অনেকেই পরিবার ও আত্মীয়স্বজনের ভোটই পাননি। দুই অঙ্কের ঘরে সীমাবদ্ধ ছিল তাদের প্রাপ্ত ভোট। তারা সবাই জামানত হারিয়েছেন। নির্বাচনের গেজেট প্রকাশ হলেই এই অর্থ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা হবে।

নির্বাচন কমিশন জানায়, মোট প্রদত্ত ভোটের ৮ ভাগের ১ ভাগ না পেলে প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়ে যায়।

কুমিল্লা সিটি নির্বাচনের ফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, ১০৮ কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে জামানত হারাতে যাচ্ছেন ৫০ জন। এর মধ্যে মহিলা কাউন্সিলর রয়েছেন ৯ জন।

কুমিল্লা আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, নগরীর ১ নম্বর ওয়ার্ডে চার প্রার্থীর মধ্যে জামানত হারিয়েছেন ইকবাল হোসেন ও আবুল কালাম আজাদ, ২ নম্বর ওয়ার্ডে পাঁচ প্রার্থীর মধ্যে আবদুল মন্নাফ ও নাহিদা আক্তার, ৩ নম্বর ওয়ার্ডে সাত প্রার্থীর মধ্যে আরিফুল ইসলাম চৌধুরী, মনিরুল আলম, স্বপন আলী ও আবদুল্লাহ আল মোমেন, ৪ নম্বর ওয়ার্ডে চার প্রার্থীর মধ্যে রোকসানা আক্তার। ৭ নম্বর ওয়ার্ডে তিন প্রার্থীর মধ্যে রিয়াজ উদ্দিন খান, ৮ নম্বর ওয়ার্ডে পাঁচ প্রার্থীর মধ্যে বিকাশ চন্দ্র দাস, রাজন পাল ও সৈয়দ মহসিন আলী, ৯ নম্বর ওয়ার্ডে পাঁচ প্রার্থীর মধ্যে আশিকুর রহমান ও মিজানুর রহমান।

১১ নম্বর ওয়ার্ডে চার প্রার্থীর মধ্যে কাজী সামছুল আলম ও পারভেজ হানিফ, ১২ নম্বর ওয়ার্ডে তিন প্রার্থীর মধ্যে ওমর ফারুক, ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে তিন প্রার্থীর মধ্যে আহাদ হোসেন বিশ্বাস, ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে চার প্রার্থীর মধ্যে সাইফুল ইসলাম, ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে ছয় প্রার্থীর মধ্যে মো. সাইফুল ইসলাম, মো. হাবিব ও সৈয়দ রুমন আহমেদ, ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে তিন প্রার্থীর মধ্যে নাছিম হোসেন, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে পাঁচ প্রার্থীর মধ্যে মোজাম্মেল হোসেন, ২০ নম্বর ওয়ার্ডে তিন প্রার্থীর মধ্যে মাহে আলম প্রাপ্ত ভোটের হিসাবে জামানত হারাচ্ছেন।

২১ নম্বর ওয়ার্ডে পাঁচ প্রার্থীর মধ্যে জামাল হোসেন কাজল, মো. মিন্টু ও আক্তার হোসেন, ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে সাত প্রার্থীর মধ্যে মাহাবুব আলম, মো. আবু হাসান, নুরুল ইসলাম ও শাহজালাল, ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে পাঁচ প্রার্থীর মধ্যে মো. আবু হানিফ ও নাসির উদ্দিন, ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে ছয় প্রার্থীর মধ্যে রফিকুল ইসলাম, জহিরুল ইসলাম ও অহিদুর রহমান, ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে পাঁচ প্রার্থীর মধ্যে জালাল উদ্দিন আহমেদ, মকবুল আহমেদ ও হোসাইন মোশাররফ জামানত হারাচ্ছেন।

সংরক্ষিত ওয়ার্ডে অংশ নেয়া ৩৬ জন প্রার্থীর মধ্যে জামানত হারাচ্ছেন ৯ জন প্রার্থী। তারা হলেন, ১ নম্বর ওয়ার্ডে ছয় প্রার্থীর মধ্যে মমতাজ বেগম, রোকসানা ইসলাম ও ছফুরা সুলতানা এনি, ৩ নম্বর ওয়ার্ডে চার প্রার্থীর মধ্যে ফাতেমা আক্তার, ৪ নম্বর ওয়ার্ডে চার প্রার্থীর মধ্যে ফাতেমা আক্তার।

৫ নম্বর ওয়ার্ডে ছয় প্রার্থীর মধ্যে শিউলি আক্তার, ৭ নম্বর ওয়ার্ডে চার প্রার্থীর মধ্যে ফারজানা আক্তার, ৮ নম্বর ওয়ার্ডে চার প্রার্থীর মধ্যে আমেনা বেগম এবং ৯ নম্বর ওয়ার্ডে চার প্রার্থীর মধ্যে সেলিনা আক্তার জামানত হারাতে যাচ্ছেন।

সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার মো. শাহেদুন্নবী চৌধুরী জানান, ‘কোনো প্রার্থী যদি মোট প্রদও ভোটের ৮ শতাংশ না পান তাহলে জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। গেজেট প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে তাদের জামানতের টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা হবে।

এত প্রার্থী কেন জামানত হারিয়েছেন

ইতিহাসবিদ আহসানুল কবির মনে করেন, কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে অনেকেই কাউন্সিলর প্রার্থী হয়ে এসেছেন নিজেকে চেনানোর জন্য। অনেকেই আবার ব্যক্তিগত আক্রোশে প্রার্থী হয়েছেন। তাদের মধ্যে অনেকে অন্য প্রার্থীকে বিজয়ী করার জন্য ড্যামি প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। ওয়ার্ডগুলোতে রাজনৈতিকভাবে একই দলের একাধিক প্রার্থী হয়েছেন। এসব কারণে এত প্রার্থী জামানত হারান।

আহসানুল কবির বলেন, আগে এলাকার লোকজন মধ্যবিত্ত শিক্ষিত মানুষকে উৎসাহিত করতেন নির্বাচন করার জন্য। এখন নিজেরাই নিজেদের প্রার্থী ঘোষণা করেন। এর ফলে তারা পরিবার বা আত্মীয়স্বজনের ভোটের বাইরে আর কোনো ভোট পান না।

গত বুধবার কুমিল্লা সিটির ২৭টি সাধারণ ও ৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ভোটগ্রহণ হয়। এবারের নির্বাচনে মেয়র পদে পাঁচজন, কাউন্সিলর পদে ১০৮ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৩৬ প্রার্থী ভোটের মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিলেন।

কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত মেয়র নির্বাচিত হন। ১০৫ কেন্দ্রের প্রাপ্ত ফলে রিফাত পেয়েছেন ৫০ হাজার ৩১০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী টেবিল ঘড়ি প্রতীকের মনিরুল হক সাক্কু পেয়েছেন ৪৯ হাজার ৯৬৭ ভোট।

বুধবার রাত পৌনে ১০টার দিকে রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহেদুন্নবী চৌধুরী এই ফল ঘোষণা করেন।

এ বিভাগের আরো খবর