বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বাঁধ ভেঙে ময়মনসিংহে ঢুকছে বানের পানি

  •    
  • ১৮ জুন, ২০২২ ১৮:১৩

দক্ষিণ মাইজপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুন সরকার বলেন, ‘পাহাড়ি ঢলে খাগগড়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মোকসেদ আলীর বাড়িসহ দুটি বাড়ি ভেসে গেছে। এ এলাকার অনেক মানুষের ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পানি বাড়ছে।’

অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে নেতাই নদীর বাঁধ ভেঙে ময়মনসিংহের সীমান্তবর্তী ধোবাউড়া উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

পানির তোড়ে ভেসে গেছে কয়েকটি বাড়ি। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন পাঁচ শতাধিক মানুষ। এতে নিজেরা খাদ্যসংকটে পড়ার পাশাপাশি গবাদিপশু নিয়েও বিপাকে পড়েছেন তারা।

কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে ঘোষগাঁও ইউনিয়নে নির্মাণাধীন বেড়িবাঁধ ও নেতাই নদীর পাড় ভেঙে উপজেলার দক্ষিণ মাইজপাড়া, ঘোষগাঁও ও পুরাকান্দুলিয়া ইউনিয়নের নোয়াপাড়া, কড়ইগড়া, কালিকাবাড়ি, বল্লভপুর, খাগগড়া গ্রামের বিভিন্ন এলাকায় প্রবল বেগে পানি প্রবেশ করেছে। এতে এসব গ্রামের বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়ে অন্য গ্রামগুলোতেও পানি প্রবেশ করছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড ময়মনসিংহ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আখলাকুল জামিল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ধোবাউড়ায় নেতাই নদীর পানি বিপৎসীমার ৭২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এভাবে পানি বাড়তে থাকলে দ্রুত আরও কয়েকটি গ্রাম পানির নিচে তলিয়ে যাবে।’

তিনি আরও বলেন, বিপৎসীমার নিচে থাকলেও কয়েক দিন ধরে ব্রহ্মপুত্র নদের পানিও বাড়ছে। দ্রুত পানি বাড়তে থাকলে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ময়মনসিংহে বন্যার শঙ্কা রয়েছে।

নোয়াপাড়া গ্রামের কৃষক আব্দুল হাই নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মঙ্গলবার থেকে পাহাড়ি ঢলে পানি বাড়তে শুরু করেছে। শুক্রবার দুপুরে ঘোষগাঁও ইউনিয়নে নির্মাণাধীন বেড়িবাঁধ ও নেতাই নদীর পাড় ভেঙে বন্যার সৃষ্টি হয়। এতে আমার সবজি ক্ষেত ডুবে গেছে। এখন ধীরে ধীরে বাড়িতে প্রবেশ করছে পানি।’

একই গ্রামের সাত্তার মিয়া বলেন, ‘আমার ঘরসহ গরুর খামারে ইতোমধ্যে হাঁটুপানি হয়েছে। নিজেরা কোনো রকমে থাকতে পারলেও ছয়টি গরু নিয়ে বিপাকে পড়েছি। কোনো রকমে গরুগুলোকে অন্যত্র সরিয়েছি। আরও অনেকে গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। এখন পর্যন্ত খাদ্যসহায়তা পাইনি।’

দক্ষিণ মাইজপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হুমায়ুন সরকার বলেন, ‘পাহাড়ি ঢলে খাগগড়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মোকসেদ আলীর বাড়িসহ দুটি বাড়ি ভেসে গেছে। এ এলাকার অনেক মানুষের ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে। সময়ের তালে তালে পানি বাড়ছে। আমরা পানিবন্দি অনেককে খাদ্য সহায়তা দিচ্ছি।’

ধোবাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফৌজিয়া নাজনীন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পানিবন্দি মানুষদের স্থানীয়ভাবে শুকনো খাবার সহায়তা করা হয়েছে। জেলা প্রশাসকের কাছে ১০ টন চাল ও ২ লাখ টাকা সাহায্য চাওয়া হয়েছে। এগুলো পেলে পানিবন্দিদের হাতে পৌঁছে দেয়া হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর