সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির অবনতির সঙ্গে শুরু হয় বিদ্যুৎ বিভ্রাট। বিদ্যুতের বিকল্প হিসেবে অনেকেই ব্যবহার শুরু করেন মোমবাতি।
ব্যাপক চাহিদার কারণে শুক্রবার দ্বিগুণ দামে মোমবাতি বিক্রি হতে থাকে।
বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন সিলেটে এখন দোকানে দোকানে ঘুরে সেই মোমবাতিও পাওয়া যাচ্ছে না। শনিবার দুপুর থেকে এমন অবস্থা তৈরি হয়েছে।
কুমারগাঁও বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রে বন্যার পানি উঠে যাওয়ায় শনিবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে পুরো সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেয়া হয়। এরপর থেকেই মোমবাতির জন্য হাহাকার দেখা দিয়েছে।
নগরের নয়া সড়ক এলাকার রাহাদুজ্জামান মুন্না নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বাসায় বিদ্যুৎ নেই। দুপুরে মোমবাতি কিনতে বের হয়েছিলাম। কিন্তু নয়া সড়ক, জিন্দাবাজারসহ নগরের কয়েকটি এলাকা ঘুরেও মোমবাতি পাইনি।’
একই কথা জানান কাজল শাহ এলাকার শরীফ উদ্দিন।
তিনি বলেন, ‘পুরো এলাকা ঘুরেও মোমবাতি পাই নাই। রাস্তায় পানির জন্য দূরে কোথাও যাওয়াও যাচ্ছে না। আশপাশের রেস্টুরেন্টগুলোতে খাবারও পাওয়া যাচ্ছে না। চরম দুর্ভোগের মধ্যে রয়েছি।’
সিলেটে গত বুধবার বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। বৃহস্পতিবার তা ভয়াবহ রূপ নেয়। এ দিন বিকেল থেকে দ্রুত বাড়তে শুরু করে পানি। তলিয়ে যায় সিলেট নগরের বেশির ভাগ এলাকা। শনিবার সকালের বৃষ্টিতে নগরের বাকি এলাকাও তলিয়ে গেছে।
পানি ঢুকে পড়েছে বিভিন্ন দোকানপাট, রেস্টুরেন্ট ও বিপণিবিতানে। ফলে অনেক প্রতিষ্ঠানই বন্ধ রাখা হয়েছে।
বন্যার পানির কারণে শুক্রবার বিকেলে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সব ধরনের বিমান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়। শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে সিলেট রেলস্টেশনও বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এতে সারা দেশের সঙ্গে আকাশ ও রেলপথে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে সিলেট।