চট্টগ্রামে আলাদা পাহাড় ধসে দুই ভাইসহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন তিনজন।
আকবরশাহ থানার বরিশাল ঘোনা ও ফয়েস লেকের বিজয়নগর এলাকার দুইটি পাহাড়ে শুক্রবার রাত ১টা থেকে ৩টার মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।
মৃতরা হলেন ২৬ বছর বয়সী শাহিনুর আক্তার, ২৪ বছর বয়সী মাইনুল আক্তার, ২৩ বছর বয়সী মো. লিটন ও ১৪ বছর বয়সী মো. ইমন।
পাহাড়তলী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শাকের আহমেদ নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘রাত ১টার দিকে ১ নম্বর ঝিলের বরিশাল ঘোনা এলাকায় পাহাড় ধস হয়। সেখান থেকে আহত পাঁচজনকে হাসপাতালে পাঠানো হলে চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
‘এরপর আমরা রাত ৩টার দিকে ফয়েস লেকের বিজয়নগর এলাকায় আরেকটি ধসের খবর পাই। সেখান থেকে ফায়ার সার্ভিস দুই ভাইয়ের মাটিচাপা মরদেহ উদ্ধার করে।’
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বৃষ্টির কারণে পাহাড় ধসের শঙ্কা তৈরি হওয়ায় সবাইকে সরে যাওয়ার জন্য আমরা শুক্রবার সারা দিন চট্টগ্রামের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে মাইকিং করেছি।
‘তাদের জন্য ১৯টি আশ্রয়কেন্দ্রও চালু করা হয়েছে। যেখানে পাহাড় ধস হয়েছে, সেখানে স্পেশালি মাইকিং করা হয়েছিল।’
চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক ফারুক হোসেন সিকদার বলেন, ‘পাহাড়ধসের পর আমাদের পক্ষ থেকেও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছ। মিরসরাই, সীতাকুণ্ড, বায়েজিদ, মতিঝর্ণা, আকবরশাহ এলাকায় আমাদের লোক কাজ করছে।’
চট্টগ্রামে সোমবার পর্যন্ত বৃষ্টির কথা জানিয়েছেন পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম।
তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে শনিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত আমবাগান আবহাওয়া অফিস ১৯৭ দশমিক ৫ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করেছে। মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকার কারণে এই বৃষ্টি। আগামী সোমবার পর্যন্ত এটা চলবে। মঙ্গলবার বৃষ্টি বন্ধ হতে পারে।’