ফরিদপুরের সালথায় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় অন্তত ১৫টি বসতঘর ভাঙচুর করা হয়েছে।
পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ফাটিয়ে গ্রামবাসীর বেপরোয়া সংঘর্ষ থামায়।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের সেনহাটি গ্রামে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আটঘর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম খান এবং সালথা উপজেলা চেয়ারম্যান ওদুদ মাতুব্বরের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পূর্ববিরোধের জেরে শুক্রবার সকালে আটঘর ইউনিয়নের সেনহাটি গ্রামে উভয় পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় পাশের গোয়ালপাড়া, খোঁয়াড় ও খাগড় গ্রামের কয়েক শ লোক ঢাল-কাতরাসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন।
ঘণ্টাব্যাপী চলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন।
আহতদের মধ্যে ফিরোজ মাতুব্বর, ফজলু মাতুব্বর, জুবায়েদ খাঁ, রফিক কাজী, আল আমিন, রুহুল, কাজলসহ অন্তত ১৫ জনকে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।স্থানীরা জানান, সংঘর্ষ চলাকালে উভয় পক্ষ একে অপরের অন্তত ১৫টি বসতঘর ভাঙচুর করে।
ফরিদপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (নগরকান্দা সার্কেল) মো. সুমিনুর রহমান বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সাউন্ড গ্রেনেড ফাটিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। এলাকার পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।