বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জে কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এক গৃহবধূর চুল কেটে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে সাবেক নারী ইউপি সদস্য মনজিলা বেগমের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে উপজেলার বলইবুনিয়া ইউনিয়নের কিসমত জামুয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে শুক্রবার বিকেলে মনজিলা বেগমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এর আগে শুক্রবার সকালে ভুক্তভোগী গৃহবধূর ভাই সাইদুল শেখ চারজনের নাম উল্লেখ করে মোড়েলগঞ্জ থানায় মামলা করেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, নির্যাতিতার স্বামী সৌদি প্রবাসী। তিনি দুই সন্তানের জননী। পুত্রসন্তান ঢাকার একটি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে এবং ১০ বছর বয়সী কন্যাসন্তান নিয়ে তিনি স্বামীর বাড়িতে বসবাস করছেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ভুক্তভোগী গৃহবধূ প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাইরে গেলে স্থানীয় রিয়াদ খান, বাবু মোল্লা ও রিয়াজুল শেখ তার মুখ চেপে ধরে কুপ্রস্তাব দেয়। এতে রাজি না হলে ওই গৃহবধূকে ধরে নিয়ে রিয়াদ খানের বাড়ির উঠানে নিয়ে যায় তারা। সেখানে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে রিয়াদের মা মনজিলা ঘরের বাইরে আসেন।
এ অবস্থায় ঘটনাটি ভিন্ন দিকে নিয়ে যেতে সবাই মিলে গৃহবধূকে ঘরের মধ্যে নিয়ে খাটের সঙ্গে বেঁধে চুল কেটে দেয় ও মারধর করে। পরে থানায় ফোন দিয়ে চুরির অভিযোগ দেয় এবং স্থানীয়দের ডেকে আনে। পুলিশ এসে ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে।
মোড়েলগঞ্জ মডেল থানার ওসি সাইদুর রহমান জানান, গৃহবধূর ভাইয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে সাবেক নারী ইউপি সদস্য মনজিলা বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। গৃহবধূকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।