মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভা থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় শ্রীনগর উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রেহানা বেগমকে হাত-পা ভেঙে দেয়ার হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেনের বিরুদ্ধে।
শ্রীনগর পাইলট স্কুল অ্যান্ড কলেজের হল রুমে শুক্রবার বিকেলে মতবিনিময় সভায় প্রকাশ্যে এ হুমকির ঘটনার আগে হট্টোগোল শুরু হয়। ওই ঘটনার ভিডিও ধারণ করায় উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আছিয়া আক্তার রুমুর স্বামী নুরুল আমীন উপস্থিত এক সংবাদকর্মীর মোবাইল ফোন কেড়ে নেন। পরে অন্য সাংবাদিকদের প্রতিবাদের মুখে তিনি তা ফেরত দেন।
মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী আফরোজা বেগম, রোকিয়া বেগম ও নুসরাত জাহান অভিযোগ করে বলেন, শুক্রবার উপজেলা আওয়ামী লীগের মতবিনিময় সভায় গোপন বৈঠক করে কমিটি ঘোষণা দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ঢাকা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেত্রী মেহজাবিন আলী।
ওই সময় উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রেহানা বেগম প্রতিবাদ করে ও আমরা সবাই উঠে চলে আসার সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন আমাদের গতিরোধ করে ভেতরে যেতে বলে। আমরা রুমে না যাওয়ায় তিনি আমাদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করে।
ওই সময় আমাদের নেত্রীর হাত-পা ভেঙে দেবে বলেও হুমকি দেয়। আমরা তার এমন অশোভন আচরণের নিন্দা জানাই।
রেহেনা বেগম বলেন, ‘মহিলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন করার জন্য জেলা থেকে নেতৃবৃন্দ আসে। তাদের নিয়ে তোফাজ্জল হোসেন গোপন বৈঠক করে আহ্বায়ক কমিটি করার সিদ্ধান্ত নেয়। এ বিষয়ে আমি প্রতিবাদ করলে আমার সঙ্গে অশোভন আচরণ করে।
‘আমি উঠে চলে এলে আমার সঙ্গে সব নেত্রীরা চলে আসে। তখন আমাদের পথরোধ করে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন আমার হাত-পা ভেঙে হত্যা করবে বলে হুমকি দেয়।’
অভিযোগের বিষয়ে তোফাজ্জল হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘হাত-পা ভেঙে দেয়ার কথা সত্য নয়। আমি ওকে বলছি তুই আর কোনোদিন মহিলা আওয়ামী লীগের কোনো মিটিংয়ে আসবি না। এ ছাড়া ওকে যারা সহযোগিতা করবে তারা পদ-পদবি থেকে বঞ্চিত হবে। হত্যার হুমকির বিষয়টিও সঠিক নয়।’