ময়মনসিংহ সদর ও নান্দাইলে বজ্রপাতে শিশুসহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।
সদরের দড়ি কুষ্টিয়া ও নান্দাইল উপজেলার গাঙ্গগাইল ইউনিয়নের গাঙ্গগাইল বাজার এলাকায় শুক্রবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ফারুক হোসেন ও নান্দাইল মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ওবায়দুর রহমান।
সদরে যারা মারা গেছেন তারা হলেন ৪০ বছরের আবু বক্কর ও ৩০ বছরের জাহাঙ্গীর আলম। তাদের বাড়ি সদর উপজেলার দড়ি কুষ্টিয়া ইউনিয়নে। তারা কৃষক ছিলেন।
কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ফারুক হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ব্রহ্মপুত্র নদের কিনারায় মাছ ধরতে গিয়েছিল কৃষক আবু বক্কর ও জাহাঙ্গীর আলম। হঠাৎ বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই দুইজনের মৃত্যু হয়।’
নান্দাইলে বজ্রপাতে মারা গেছে একই পরিবারের তিন শিশু।
তারা হলো, ১২ বছরের সাঈদ মিয়া, ১১ বছরের স্বাধীন মিয়া এবং ৮ বছরের শাওন। তাদের সবার বাড়ি উপজেলার গাঙ্গাইল ইউনিয়নের কংকরহাটি গ্রামে। সম্পর্কে তারা চাচাতো ভাই।
নান্দাইল মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ওবায়দুর রহমান বলেন, ‘বৃষ্টির সময় ওই তিন শিশু একসঙ্গে মাছ ধরতে যায়। দুপুরে বজ্রপাতে তাদের মৃত্যু হয়েছে।’
এর আগে দুপুরে বজ্রপাতে সিরাজগঞ্জ শহরে দুই জন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন আরও ৪ জন।
সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, ‘সদর থানার দুটি স্থানে দুইজন বজ্রপাতে মারা গেছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও চার জন। আহতদের সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, তাদের চিকিৎসা চলছে।’
বগুড়ায় এদিন দুপুর ১২টার দিকে বজ্রপাতে প্রাণ গেছে এক কৃষকের।
উপজেলার ছাতিয়ানগ্রাম ইউনিয়নের কোমারভোগ গ্রামের এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন আদমদীঘি থানার এসআই প্রদীপ কুমার বর্মন।
মৃত কৃষকের নাম জহুরুল ইসলাম।
স্থানীয়দের বরাতে এসআই প্রদীপ জানান, বাড়ির পাশে মরিচ ও অন্যান্য সবজির জমি আছে জহুরুলের। বেলা ১২টার দিকে ওই জমির পরিচর্যার কাজ করছিলেন তিনি। সে সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।