কুড়িগ্রামের ব্রহ্মপুত্র নদ ও ধরলা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে ছয়টি উপজেলায় প্রায় ২০টি ইউনিয়নের ৬০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দুপুরে ধরলার পানি বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার এবং ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপৎসীমার ৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এর আগে সকাল ৯টার দিকে ধরলার পানি ৯ সেন্টিমিটার এবং ব্রহ্মপুত্রের পানি ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
বন্যার কারণে নিম্নাঞ্চলের ঘরবাড়িতে পানি উঠতে শুরু করেছে। এ ছাড়া প্রত্যন্ত এলাকার রাস্তাঘাটও ডুবে গেছে।
জেলার প্রায় ২ হাজার ৬৩ হেক্টর জমির ধান, ৯০৩ হেক্টর জমির পাট, ৭৮ হেক্টর জমির অন্যান্য ফসল পানিতে ডুবে গেছে।
কোন কোন এলাকা পানিবন্দি
বন্যায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার বামনডাঙ্গা, নুনখাওয়া,বল্লভেসের খাস, কালীগঞ্জ, বেরুবাড়ি, সদর উপজেলার ঘোগাদহ,যাত্রাপুর, হলোখানা,পাঁচগাছি, মোগলবাসা, উলিপুর উপজেলার হাতিয়া, বুড়াবুড়ি, সাহের আলগা, বেগমগঞ্জ, চিলমারী উপজেলার রাণীগঞ্জ,অষ্টমীর চর,রমনা, নয়ারহাট, চিলমারী সদর, রৌমারী উপজেলার শৌলমারী, যাদুরচর, রৌমারী সদর এবং রাজিবপুর উপজেলার রাজিবপুর সদর ইউনিয়নের মানুষ।
যাত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর বলেন, ‘ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধি পেয়ে চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়ে এসব এলাকার কয়েক শত পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।’
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ‘কুড়িগ্রামে বন্যা দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে দুটি নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। বন্যা মোকাবিলায় আমাদের পর্যাপ্ত প্রস্তুতি রয়েছে।
‘রৌমারী উপজেলায় আট শতাধিক পরিবারকে ত্রাণ সহায়তা দেয়া হয়েছে। এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। এ ছাড়া জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে তালিকা সংগ্রহ করা হচ্ছে।’