ছাতক ও সুনামগঞ্জ গ্রিড উপকেন্দ্র পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত হওয়ায় দুর্ঘটনা এড়াতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করা হয়েছে। সুনামগঞ্জ জেলা ও সংলগ্ন এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
সিলেটের কুমারগাঁও গ্রিড উপকেন্দ্রের সুইচইয়ার্ড প্লাবিত হওয়ায় সিলেট অঞ্চলও বিদ্যুৎ বন্ধের ঝুঁকিতে রয়েছে। এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের দেয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমনটি জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সাময়িক এই অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে সিলেট অঞ্চলের বিদ্যুৎ গ্রাহকদের ধৈর্য ধরার অনুরোধ করেন।
তিনি বলেন, ‘বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ামাত্র পুনরায় বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা হবে। পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগসৃষ্ট কারণে বিদ্যুৎ গ্রাহকদের অনাকাঙ্ক্ষিত এই অসুবিধার জন্য বিদ্যুৎ বিভাগ দুঃখ প্রকাশ করেন।
পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য মনিটরিং টিম গঠন করা হয়েছে।
নদনদীর পানি বেড়ে সুনামগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে সদরসহ জেলার প্রায় সব প্রান্তের ঘরবাড়িতে।
বন্যায় নিত্যপ্রয়োজনীয় সব ধরনের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন জেলার বাসিন্দারা। শহরসহ জেলার বিভিন্ন প্রান্তে সুপেয় পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ৯টা থেকে জেলা শহরে বিদ্যুৎ নেই। সকাল ৯টার দিকেও আসেনি বিদ্যুৎ।
দুর্ভোগে মাত্রা যোগ করেছে মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্কহীনতা। জেলা শহরে বৃহস্পতিবার রাত ৩টা থেকে নিরবচ্ছিন্ন মোবাইল নেটওয়ার্ক পাওয়া যাচ্ছে না।
বানভাসীদের মধ্যে যারা বাড়িতে আছেন, তারা শুকনো খাবার খেয়ে কাটাচ্ছেন। অন্যদিকে যাদের বাড়িতে থাকার মতো অবস্থা নেই, তারা মরিয়া আশ্রয়কেন্দ্রগুলোর দিকে যেতে।
সুনামগঞ্জ শহরের তেগুরিয়া এলাকার বাসিন্দা ও স্বেচ্ছাসেবী মোহাম্মদ আম্বর নিউজবাংলাকে জানান, বৃহস্পতিবার রাত থেকে সাহায্যের জন্য তার কাছে অনেকে ফোন করেছেন। তাদের মধ্যে কেউ খাবার চাইছেন, কেউ চাইছেন আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার নৌকা।
টানা বৃষ্টিতে সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কের গোবিন্দগঞ্জ-দিঘলী এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়েছে। এতে সারা দেশের সঙ্গে সুনামগঞ্জের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।