সিলেট ও সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। নতুন করে প্লাবিত হয়েছে আরও অনেক এলাকা। আগে থেকে প্লাবিত হওয়া এলাকায় পানি বাড়ছে।
এবারের বন্যায় পুরো সিলেট ও সুনামগঞ্জে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে পড়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
পানি ঢুকে পড়েছে সিলেটের কুমারগাওয়ে অবস্থিত বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রে। এই উপকেন্দ্র দিয়ে সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়।
পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় ইতিমধ্যে সিলেটের পুরো কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা এবং কানাইঘাট, জৈন্তাপুর ও গোয়ইঘাট উপজেলার অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে সিলেট নগরের উপশহরসহ কয়েকটি এলাকায়।
এর আগে গত মাসের বন্যায় দক্ষিণ সুরমা, উপশহরসহ কয়েকটি এলাকার বিদ্যুতের সাবস্টেশন পানিতে তলিতে যায়। এতে বন্ধ হয়ে যায় ওইসব এলাকার বিদ্যুৎ সরবরাহ। তবে এবার পুরো সিলেট ও সুনামগঞ্জের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ পড়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
কুমারগাঁও বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের এক কর্মকর্তা জানান, সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয় কুমারগাঁও ১৩২/৩৩ কেভি গ্রিড উপকেন্দ্র থেকে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে এই গ্রিড উপকেন্দ্রের সুইচ ইয়ার্ডে বন্যার পানি প্রবেশ করতে শুরু করে। পানি আরও বাড়লে পুরো সিলেটে বিদুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে পড়তে পারে।
কুমারগাঁও বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সুরঞ্জিত সিংহ বলেন, ‘ইতিমধ্যে কুমারগাঁও ১৩২/৩৩ কেভি উপকেন্দ্রের সুইচ ইয়ার্ডে পানি প্রবেশ করেছে। যে হারে বৃষ্টি হচ্ছে এটা চলমান থাকলে কন্ট্রোল রুমে পানি প্রবেশ করতে বেশি সময় লাগবে না। যদি কন্ট্রোল রুমে পানি প্রবেশ করে তাহলে এই গ্রিড উপকেন্দ্র বন্ধ করে দিতে হবে। এই গ্রিড বন্ধ করলে পুরো সিলেটের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাবে।’
বিদ্যুৎ বিভাগ সিলেটের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল কাদির বলেন, ‘কুমারগাও গ্রিড থেকে আমাদের জানানো হয়েছে, তাদের ভবনের একেবারে দরজায় পানি চলে এসেছে। পানি আরও বাড়লে গ্রিড বন্ধ করে দেয়া হবে। আমাদের এ ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছে।
‘গ্রিড লাইন বন্ধ হলে সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার ৯০ শতাংশ বিদ্যুৎ সরবরাহই বন্ধ হয়ে যাবে।’
পল্লী বিদ্যুতের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা শাখার উপব্যবস্থাপক মৃণাল কান্তি দাশ বলেন, ‘উপজেলার অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ সরবরাহের লাইন পানিতে নিমজ্জিত হয়ে গেছে এবং বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রটি পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এতে উপজেলায় আপাতত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব নয়।’