বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সীতাকুণ্ডে আগুনে দগ্ধ ১০ জনকে আর্থিক অনুদান

  •    
  • ১৬ জুন, ২০২২ ২২:৪২

‘শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ১০ জন রোগীকে ৫০ হাজার টাকার চেক দেয়া হয়েছে। মোট ১৫৮ জনকে চেক দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া ১৫ জন নিহতের পরিবারকে ২ লাখ টাকা করে দেয়া হয়েছে।’

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড বিএম ডিপোর বিস্ফোরণে অগ্নিদগ্ধদের দেখতে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আসেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটের দিকে তিনি পরিদর্শনে আসেন।

ওই সময় তিনি আগুনে দগ্ধদের খোঁজ নেন। সেই সঙ্গে তাদের হাতে আর্থিক অনুদান তুলে দেন।

প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ১০ জন রোগীকে ৫০ হাজার টাকার চেক দেয়া হয়েছে। মোট ১৫৮ জনকে চেক দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া ১৫ জন নিহতের পরিবারকে ২ লাখ টাকা করে দেয়া হয়েছে।

‘এখানে ভর্তি আরও কয়েকজন আছে, যাদের এখনও টাকা দেয়া হয়নি, তবে তাদেরও চিকিৎসা সহায়তা দেয়া হবে। আর যারা ভর্তি রয়েছে, তাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা ক্রিটিক্যাল, বাকি সবাই চিকিৎসাধীন রয়েছে তারা অনেকটা উন্নতির দিকে।’

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন আইউব হোসেন জানান, আগুনে দগ্ধ ২১ জন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি রয়েছে। তাদের মধ্যে দুজনকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি রয়েছে। শনিবারে পাঁচজনকে চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হবে। বাকি সবাই ভর্তি থাকবেন। তাদের অবস্থা অনেকটা উন্নতির দিকে।’

আগুনের পর বিস্ফোরণ

নেদারল্যান্ডস ও বাংলাদেশের যৌথ মালিকানাধীন (জয়েন্ট ভেঞ্চার কোম্পানি) প্রতিষ্ঠান বিএম কনটেইনার ডিপো সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী এলাকায়। সেখানে গত ৪ জুন রাত ৯টার দিকে আগুন লাগে।

একে একে ছুটে যায় চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের ১৫টি ইউনিট। নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলা থেকেও পরে যোগ দেয় কয়েকটি ইউনিট। ৫ জুন সকাল পর্যন্ত আগুন নেভাতে আসা ইউনিটের সংখ্যা বেড়ে হয় ২৫টি। কিন্তু কনটেইনারে থাকা রাসায়নিক পদার্থের কারণে দফায় দফায় বিস্ফোরণে বাড়ে আগুনের ভয়াবহতা।

ফায়ার সার্ভিস জানায়, শনিবার রাত ৯টা ২৫ মিনিটে আগুন লাগার খবর পায় তারা। এরপর তাদের আটটি ইউনিট কাজ শুরু করে।

কিছু পরে ঘটনাস্থলে যোগ দেয় ফায়ার সার্ভিসের আরও সাতটি ইউনিট।

গত ৫ জুন চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক ও চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত আলাউদ্দিন তালুকদার জানান, নিহতদের মধ্যে ২৫ জনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। বাকিদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি।

৮৭ ঘণ্টা পর ৮ জুন দুপুরে বিএম কনটেইনার ডিপোর আগুন নেভে। সাংবাদিকদের বুধবার দুপুর ১২টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের ১৮ ব্রিগেডের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফুল ইসলাম হিমেল।

আগুন ও বিস্ফোরণের ঘটনায় এ পর্যন্ত ৪৮ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।

এ বিভাগের আরো খবর