বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অর্থমন্ত্রীর সংজ্ঞা মানলে রাষ্ট্রপতি, স্পিকারও কালো টাকার মালিক: চুন্নু

  •    
  • ১৬ জুন, ২০২২ ২০:৫৮

‘মাননীয় স্পিকার, আমরা ঢাকায় যারা আছি- আপনি, রাষ্ট্রপতি, আমি সবাই কালো টাকার মালিক। তবে আমি আইন লঙ্ঘন করে কালো টাকার মালিক হয়েছি কি না সংসদে এর ব্যাখ্যা চাই।’

কালো টাকার মালিক সংক্রান্ত অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সাম্প্রতিক বক্তব্যের বিরোধিতা করেছেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু।

বৃহস্পতিবার সংসদ অধিবেশনে প্রস্তাবিত ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি বলেন, ‘অর্থমন্ত্রী বলেছেন যে ঢাকায় যার ফ্ল্যাট-প্লট আছে তিনি কালো টাকার মালিক। আমার ঢাকায় কোনো বাড়ি নেই। তবে ২০১১ সালে আমি পূর্বাচলে প্লট পেয়েছিলাম। তার মানে অর্থমন্ত্রীর নতুন সংজ্ঞা অনুযায়ী আমি কালো টাকার মালিক হয়ে গেছি।

‘মাননীয় স্পিকার, আমরা ঢাকায় যারা আছি- আপনি, রাষ্ট্রপতি, আমি সবাই কালো টাকার মালিক। তবে আমি আইন লঙ্ঘন করে কালো টাকার মালিক হয়েছি কি না সংসদে এর ব্যাখ্যা চাই।’

জাতীয় পার্টির এই সদস্য বলেন, ‘অর্থমন্ত্রী মনের মাধুরি মিশিয়ে কথার ফুলছড়ি দিয়ে এই বাজেট প্রণয়ন করেছেন, যার পাঠোদ্ধার কঠিন। সামাজিক সুরক্ষা খাতে ১ লাখ ৭ হাজার কোটি টাকা ছিল চলতি বাজেটে। এবারের বাজেটে তা এক লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকা করা হয়েছে। মূল্যস্ফীতি কিভাবে নিয়ন্ত্রণ হবে বাজেটে তার উল্লেখ নেই।’

পাচারের অর্থ ফেরাতে অর্থমন্ত্রীর বাজেট প্রস্তাবের কড়া সমালোচনা করেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘অর্থমন্ত্রী বলেছেন ৭ শতাংশ ট্যাক্স দিলে পাচারকৃত অর্থ বৈধ হয়ে যাবে। আমি যখন ব্যবসা করি ২৫ শতাংশ ট্যাক্স দিতে হয়। তাহলে বিদেশে টাকা পাঠিয়ে ৭ শতাংশ ট্যাক্স দিয়ে হালাল করব। এই সুযোগ দেয়া সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক, বেআইনি, অনৈতিক। দেখা যাবে এই সুযোগ নিয়ে ভবিষ্যতে অনেকে টাকা পাচার করছে।

‘সিগারেটের ওপর আমরা ট্যাক্স বাড়াতে বলি। জনগণ চায় ১০০ ভাগ ট্যাক্স বাড়ানো হোক সিগারেটে....। কিন্তু ট্যাক্স বাড়ান না। তামাকের ওপর ট্যাক্স বাড়ান, সিগারেটের ওপর ট্যাক্স বাড়ান। এটা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।’

চুন্নু বলেন, আওয়ামী লীগের এক এমপি বিএনপির কথা বলতে গিয়ে এরশাদ সাহেবকে স্বৈরাচার বলেছেন। যার লগে করলাম চুরি সেই বলে চোর। আওয়ামী লীগের সঙ্গে এতো খাতির করলাম, তিন/চারবার জোট করলাম। নির্বাচন করলাম, ক্ষমতায় আনলাম, আসলাম। আর সেই আওয়ামী লীগের ভাইয়েরা যদি জিয়াউর রহমানকে গালি দিতে গিয়ে এরশাদকে গালি দেন তাহলে আর যাই কোথায়? তাহলে তো নতুন করে ভাবতে হবে- কী করবো কোথায় যাবো।’

আওয়ামী লীগ দলীয় এক সংসদ সদস্যকে উদ্দেশ করে জাতীয় পার্টির এই সদস্য বলেন, ‘কী, ভালো লাগে না? লাগবে, সময় আসছে। চিন্তা কইরেন না।’

এ বিভাগের আরো খবর