কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ফল নিজে থেকে ঘোষণা করার কোনো সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহেদুন্নাবী চৌধুরী। বলেছেন, ফল ঘোষণার একেবারে শেষ পর্যায়ে হাঙ্গামার পর শেষ পাঁচ কেন্দ্রের ফলে নৌকার ৩৪৩ ভোটে জয়ের পেছনে তার কোনো ভূমিকা নেই।
বুধবার এই হাঙ্গামার সময় ফোনে কথা বলছিলেন শাহেদুন্নবী। কার সঙ্গে কী কথা হয়েছিল, সেটিও ব্যাখ্যা করেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার বিকেলে শাহেদুন্নবী বলেন, ‘ওই সময় যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, তখন আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ডিসি ও এসপি মহোদয়কে ফোনে অবহিত করেছি।’
কুমিল্লা সিটি নির্বাচন ছাড়াও বুধবার ১২৮টি ইউনিয়ন, চারটি পৌরসভা এবং একটি উপজেলায় ভোট হয়।
গত কয়েক বছরে ভোটে সহিংসতা, সংঘর্ষ, হুমকি বা ভোট কাটার যে অভিযোগগুলো ছিল, তা এবার দেখা যায়নি।
এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচিত কুমিল্লা সিটি নির্বাচন, যাতে নৌকার প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত জেতেন ৩৪৩ ভোটে। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের এই ভোট নিয়ে বিতর্ক ওঠে একেবারে শেষ পর্যায়ে।
ভোট চলাকালে কোনো অভিযোগ না থাকার কথা বললেও ফল ঘোষণার পর কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছেন গত দুইবারের মেয়র বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত মনিরুল হক সাক্কু।
তার অভিযোগ, একেবারে শেষ মুহূর্তে ওপর মহলের ফোনে তার জয় ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে।
সিটি করপোরেশনে ২৭টি ওয়ার্ডে ১০৫ কেন্দ্র রয়েছে। ১০১টি কেন্দ্রের ফল ঘোষণার সময় জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে নৌকার সমর্থনে স্লোগান শুরু হয়। এ সময় বেশ উত্তেজনা তৈরি হয়। অতিরিক্ত পুলিশ আসে সেখানে।
এ সময় শাহেদুন্নবী চৌধুরী ওয়াশরুমে যাওয়ার কথা বলে জানান ফিরে এসে বাকি কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা করবেন। ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে এসে তিনি মোবাইল ফোনে কয়েকবার কথা বলেন। তারপর ফল ঘোষণা করেন।
১০০তম কেন্দ্র পর্যন্ত সাক্কু ছয় শতাধিক ভোটে এগিয়ে ছিলেন। তবে বাকি পাঁচ কেন্দ্রের ফল ঘোষণার পর দেখা যায় তিনি ৩৪৩ ভোটে হেরে গেছেন।
এই ঘটনার পর সাক্কু অভিযোগ করেন, ফোনে কারও সঙ্গে কথা বলে নির্বাচনের ফলাফল পরিবর্তন করেছেন তিনি।
রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, ‘আমার তো ফল পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই। আমরা প্রার্থীদের এজেন্টদের স্বাক্ষর রেখে তারপর ফলাফল ঘোষণা করি। সরকারি কয়েকটি সংস্থাকে ফলাফল দিই।’