বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সরকারের নিজের টাকায় পদ্মা সেতু নির্মাণ মিথ্যা: রিজভী

  •    
  • ১৬ জুন, ২০২২ ১৭:২৩

গণমাধ্যমের ওপর গোয়েন্দা নজরদারি করা হচ্ছে দাবি করে রিজভী বলেন, ‘সরকারের বিভিন্ন সংস্থার লোকেরা পরিকল্পিতভাবে নানা ধরনের বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। বিএনপি হচ্ছে বাকস্বাধীনতার পক্ষে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ সরকার মিডিয়াকে বিকৃতভাবে ব্যবহার করছে।’

চীনের কাছ থেকে চড়া সুদে ঋণ নিয়ে পদ্মা সেতু করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। বলেছেন, ‘সরকার নাকি নিজের টাকায় পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছে, এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। বরং এর ঋণের বোঝা আমাদের সবাইকে শোধ করতে হবে।’

বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরাম।

রিজভী দাবি করেন, ‘আসলে যে টাকা খরচ হওয়ার কথা তা হয়নি। বরং বেশি টাকা খরচ করা হয়েছে। মূলত এসব টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে।’

পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের দিন সব বাহিনীকে প্রধানমন্ত্রীর সতর্ক থাকার নির্দেশের ব্যাপারে রিজভী বলেন, ‘পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শঙ্কা করেছেন, তা কেন? সবই তো আপনার নিয়ন্ত্রণে। আপনার এত বাহিনী, এত গোয়েন্দা সংস্থা তাহলে তারা কী করে? এটাকেই বলে যে ঠাকুর ঘরে কে রে? আপনার হাতে সবকিছু আর আপনিই দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন! আমাদের শঙ্কা হয় যে আপনার লোকেরা কী এমন অঘটন ঘটিয়ে উদোর পিণ্ডি বুদোর ঘাড়ে চাপিয়ে দেবে!’

তিনি বলেন, ‘আপনার হিংসাশ্রয়ী আচরণ তো ইতোমধ্যে প্রমাণিত হয়েছে। আপনি একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে পদ্মা সেতু থেকে টুস করে ফেলে দিতে চান। নোবেলজয়ী ব্যক্তিকে চুবাবেন। এখন তো পদ্মা সেতুর নাম শুনলেই ভয় হয়। কারণ শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন এবং পদ্মা সেতু নির্মাণের মাধ্যমে গোটা জাতিকে বিভক্ত করে ফেলেছেন।’

পদ্মা সেতুর শুরু থেকেই সীমাহীন দুর্নীতি হয়েছে বলে মন্তব্য করেন রিজভী। বলেন, ‘গোটা জাতিকে ঋণে জর্জরিত করেছে প্রধানমন্ত্রী। ১৩ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প এখন প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকায় ঠেকেছে। আর কত হবে তা বলা যায় না। একটি শিশুও জন্মের পর থেকেই ঋণে জর্জরিত। আমরা ভয়ংক র একদলীয় শাসনের জাঁতাকলে নিষ্পেষিত।

‘যারা মানুষের স্বাধীনতা হরণ করতে গিয়ে নির্যাতন-নিপীড়ন করেছে তারা তো ফ্যাসিস্ট। আজকে ফ্যাসিবাদ আবারও দেখছি। যেমনটি ছিল ১৯৭৫ সালে। ইতালিতে যে ফ্যাসিজম ও জার্মানির নাৎসিবাদের আরেক রূপ বাংলাদেশে আওয়ামী বাকশাল বা ফ্যাসিবাদ। তারা ১৪ বছর অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে আছে। তারা মানুষের ভোট ডাকাতি করে নিশিরাতে নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা কুক্ষিগত করেছে।’

তিনি বলেন, ‘১৯৭৫ সালে বাকশাল করেছিল আওয়ামী লীগ। সে সময় চারটি বাদে অন্যসব গণমাধ্যম বন্ধ করা হয়েছিল। সেই আওয়ামী লীগ আবারও ২০১৮ সালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের নামে কালো আইন করেছে। এই আইনে মানুষের বাকস্বাধীনতা হরণ করা হয়েছে।’

‘গণমাধ্যমের ওপর গোয়েন্দা নজরদারি চলছে’গণমাধ্যমের ওপর গোয়েন্দা নজরদারি করা হচ্ছে বলে দাবি করেন রিজভী। তিনি বলেন, ‘সরকারের বিভিন্ন সংস্থার লোকেরা পরিকল্পিতভাবে নানা ধরনের বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। বিএনপি হচ্ছে বাকস্বাধীনতার পক্ষে। বিএনপির শাসনামলে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হয়েছে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ সরকার মিডিয়াকে বিকৃতভাবে ব্যবহার করছে।

আওয়ামী লীগ আর গণমাধ্যমের স্বাধীনতা একসঙ্গে যায় না বলে মন্তব্য করেন বিএনপির এই নেতা। বলেন, ‘এখন অনেক গণমাধ্যম দেখা যায় ঠিকই কিন্তু সরকার সেগুলোকে ভয়ভীতির মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করে। যার উদাহরণ এখন পদ্মা সেতু নিয়ে সব গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত করা হচ্ছে। এটাই তো ফ্যাসিবাদ।

‘আওয়ামী লীগ ফ্যাসিজম নিয়ে নতুন রূপে আবির্ভূত হয়েছে। নব্য বাকশাল ’৭৫ সালের চেয়ে আরও ভয়াবহ। আজ সাংবাদিকরা স্বাধীনভাবে লিখতে পারে না। যেসব গণমাধ্যম মানুষের পক্ষে, স্বাধীনতার পক্ষে সেগুলোকে সরকার বন্ধ করেছে। তার ওপর নতুন নতুন কালাকানুন করেছে। এ ধরনের কঠোর আইন ব্রিটিশ সরকারও করেনি। কিন্তু শেখ হাসিনা করেছেন। এটা নাৎসিবাদ ও ফ্যাসিবাদের ভয়াবহ রূপ।’

সংগঠনের সভাপতি মুহাম্মদ সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে ও শাহাদাত হোসেন বিপ্লবের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- বিএনপির ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল, বিএনপির সহ তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আমিরুজ্জামান খান শিমুল, নির্বাহী কমিটির সদস্য ও স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, আনোয়ার প্রমুখ।

এ বিভাগের আরো খবর