রাজধানীর কাজীপাড়ায় দন্ত চিকিৎসক আহমেদ মাহী বুলবুল হত্যার ঘটনায় ছিনতাইকারী দলের প্রধানকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) মিরপুর বিভাগ।
নিউজবাংলাকে বৃহস্পতিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মিরপুর ডিবির উপকমিশনার মানস কুমার পোদ্দার।
গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম মো. রিপন। তার বাড়ি ঝালকাঠির নলছিটিতে।
এ বিষয়ে মানস কুমার সাংবাদিকদের বলেন, ‘গতকাল (বুধবার) বিকেলে ঝালকাঠি জেলার নলছিটিতে অভিযান চালিয়ে রিপনকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি। এই ঘটনায় এর আগে যারা গ্রেপ্তার হয়েছে, তাদের জবানবন্দিতে রিপনের নাম ছিল।
‘ঘটনার পর থেকেই আমরা তাকে খুঁজছিলাম। ওই চিকিৎসককে হত্যার পর রিপন নলছিটিতে পালিয়ে ছিলেন। তার বাড়ি ওই এলাকাতেই।’
রিপনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে মানস কুমার বলেন, ‘বুলবুলকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন রিপন। তিনি ছিনতাইকারী দলটির লিডার। বুলবুলের সঙ্গে থাকা টাকা ও মুঠোফোন ছিনিয়ে নিতে তাকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছিল। বুলবুলের সঙ্গে ১২ হাজার টাকা ছিল।’
এই গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানান, রিপনকে বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করা হবে। সেখানে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিতে পারেন তিনি।
গত ২৭ মার্চ ভোরে রাজধানীর কাজীপাড়ায় ছিনতাইকারীদের হামলায় প্রাণ হারান দন্ত চিকিৎসক আহমেদ মাহী বুলবুল। এ ঘটনায় তার স্ত্রী শাম্মী আক্তার বাদী হয়ে মিরপুর থানায় মামলা করেন। এই মামলায় গত ৩০ মার্চ চার আসামিকে গ্রেপ্তার করে ডিবি।
পরদিন আদালত তাদের চার দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেয়।
ওই চারজন হলেন আরিয়ান ওরফে হাফিজুল ওরফে হৃদয়, সোলায়মান, রায়হান ওরফে আপন ওরফে সোহেল ও রাসেল হোসেন হাওলাদার।
হৃদয় ও সোলায়মান এরই মধ্যে ঢাকার সিএমএম আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
জবানবন্দি অনুযায়ী, ওই চারজনসহ পাঁচজন গত ২৬ মার্চ রাত ২টা থেকে ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে ঘোরাঘুরি করছিলেন। বুলবুল যখন রিকশায় করে পশ্চিম কাজীপাড়ার নাভানা ফার্নিচারের সামনে আসেন, তখন তারা তার গতিরোধ করেন।
ওই সময় দলনেতা রিপনসহ অন্যরা বুলবুলের কাছে যা আছে, তা দিয়ে দিতে বলেন। বুলবুল দিতে রাজি না হলে তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়।
একপর্যায়ে মুঠোফোন ছিনিয়ে নেয়ার সময় বাধা দিলে বুলবুলকে ছুরিকাঘাত করেন রিপন। এতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয় চিকিৎসকের।