প্রায় ২৮ বছর আগে আনসার বিদ্রোহের ঘটনায় চাকরিচ্যুত ২ হাজার ৩৬৩ জন চাকরিকালীন সুবিধা পাবেন কি না, তা নিয়ে আপিল বিভাগের রায় ঘোষণা করা হবে ২ আগস্ট।
আলাদা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতিসহ তিন বিচারপতির আপিল বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ দিন ঠিক করে।
আদালতে রিটকারীদের পক্ষে ছিলেন সালাহউদ্দিন দোলন ও অনিক আর হক। আনসার মহাপরিচালকের পক্ষে ছিলেন কামরুল হক সিদ্দিকী।
২০১৮ সালের এক রায়ে আলোচিত আনসার বিদ্রোহের অভিযোগ থেকে খালাস পাওয়াদের মধ্যে যাদের বয়স ও শারীরিক-মানসিক সক্ষমতা আছে, তাদের চাকরিতে পুর্নবহালের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট।
এ বিষয়ে জারি করা আলাদা দুটি রুল যথাযথ ঘোষণা করে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই রায় ঘোষণা করেছিলেন।
রিটের বিবরণ থেকে জানা যায়, বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে ১৯৯৪ সালের ৩০ নভেম্বর আনসার বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়। এটি পরবর্তী সময়ে বিদ্রোহে রূপ নেয়। সেনাবাহিনী, বিডিআর ও পুলিশের সহযোগিতায় ওই বছরের ৪ ডিসেম্বর বিদ্রোহ নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
এ ঘটনায় পরবর্তী সময়ে ২ হাজার ৬৯৬ জন কর্মীর মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুপারিশে কর্মকর্তারা চাকরিতে পুনর্বহাল হন। বাকি ২ হাজার ৪৯৬ আনসার সদস্যকে চাকরিচ্যুত করা হয়।
আনসারের ওই সদস্যদের নামে আলাদা ৭টি ফৌজদারি মামলা করা হয়। এসব মামলায় ১৩২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়া হয়। অভিযুক্তরা বিচারে খালাস পান। পরে তারা চাকরি ফিরে পেতে রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করেন, কিন্তু তাদের চাকরিতে ফিরিয়ে নেয়া হয়নি।
খালাস পাওয়া আনসার সদস্যরা চাকরি পুর্নবহাল ও প্রাপ্ত সুযোগ সুবিধা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন।
২০১৫ সালের ১২ অক্টোবর আনসার সদস্যদের চাকরিচ্যুত কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করে আদালত।
এ রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১৭ সালের ১৩ এপ্রিল প্রথম রায় ঘোষণা করে হাইকোর্ট। পরে ওই বছরের ১০ জুলাই আরও ৬৭৪ জনের দুটি রিটের রায় ঘোষণা করে উচ্চ আদালত।