বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হেলপার খুনের বর্ণনা দিলেন চালক

  •    
  • ১৬ জুন, ২০২২ ০০:৩২

রাজুর বরাত দিয়ে পিবিআই জানায়, রোববার রাত ৮টার দিকে রাজু মোবাইলে কল করে বাড়ির সামনে ডেকে নেন চয়নকে। মাইক্রোবাস রেখে তারা দুজনে বসে মোবাইল ফোনে ভিডিও দেখেন বেশ কিছুক্ষণ। গভীর রাতে শ্বাসরোধে হত্যার পর চয়নের মরদেহ বস্তায় ভরে ফেলে দেয়া হয় নদীতে।

যশোরের চৌগাছায় মিরাজ হোসেন চয়ন নামের এক কিশোরকে হত্যায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন আসামি রাজু হোসেন। আদালতে দেয়া ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে হত্যার কারণসহ রাজু বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন।

আসামি গ্রেপ্তার ও স্বীকারোক্তির বিষয়টি বুধবার নিশ্চিত করেছেন পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) যশোরের পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন।

পুলিশ জানায়, সোমবার সকালে চৌগাছা উপজেলার জলকার মাধবপুর ধোনারখাল এলাকা থেকে উদ্ধার হয় ১৭ বছর বয়সী চয়নের মরদেহ। কপোতাক্ষ নদের উত্তর পাড়ে বস্তাবন্দি অবস্থায় ছিল মরদেহ। এ ঘটনায় চয়নের পিতা সবুজ হোসেন মামলা করেন। অজ্ঞাতপরিচয়ের আসামিদের বিরুদ্ধে করা এ মামলার এজাহারে হত্যার কারণ ও আসামিদের সম্পর্কে ধারণা ছিল না।

নিহত চয়নের বাড়ি চৌগাছা উপজেলার দিঘলসিংহা গ্রামে। সে একটি মাইক্রোবাসে হেলপার হিসেবে কাজ করে আসছিল।

মামলার ছায়াতদন্তে নেমে পিবিআই মঙ্গলবার দুপুরে চৌগাছা পৌরসভার গেটসংলগ্ন বটতলা থেকে গ্রেপ্তার করে রাজু হোসেন নামের যুবককে। মাইক্রোবাসচালক রাজুর হেলপার হিসেবেই কর্মরত ছিলেন চয়ন।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদেই রাজু স্বীকার করে নেন চয়নকে হত্যার কথা। এরপর তার দেয়া তথ্যে অনুযায়ী আলামত হিসেবে জব্দ করা হয় হত্যায় ব্যবহার করা গামছা, মোবাইল সিম ও মাইক্রোবাস।

যশোরের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বুধবার হাজির করা হলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন রাজু হোসেন। ম্যাজিস্ট্রেট সালমান আহমেদ শুভ আসামির জবানবন্দি নেন।

আসামি রাজুর বাড়ি চৌগাছা উপজেলার বহিলাপোতা গ্রামে। তার পিতার নাম ইসমাইল মণ্ডল।

পিবিআই জানায়, গ্রেপ্তারের পরপরই রাজু হত্যার বিষয়ে প্রাথমিক স্বীকারোক্তি দেন। চয়নকে বলাৎকার করতে ব্যর্থ হয়ে তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করেন বলে দাবি করেছেন।

রাজুর বরাত দিয়ে পিবিআই জানায়, রোববার রাত ৮টার দিকে রাজু মোবাইলে ফোন করে ডেকে নেন চয়নকে। মাইক্রোবাস রেখে তারা দুজনে বসে মোবাইল ফোনে ভিডিও দেখেন বেশ কিছুক্ষণ।

একপর্যায়ে রাত আনুমানিক ২টার দিকে মাইক্রোবাসের ভেতরে চয়নকে জড়িয়ে ধরে বলাৎকারে চেষ্টা করেন রাজু। চয়ন রাগ করে গাড়ি থেকে নেমে যান। পরে তাকে বুঝিয়ে গাড়িতে ফেরত আনেন রাজু। গাড়ির পেছনের সিটে যখন চয়ন ঘুমানোর চেষ্টা করছিল তখন রাজু গামছা দিয়ে তার গলা প্যাঁচিয়ে শ্বাসরোধ করেন।

চয়নের মৃত্যু নিশ্চিত হলে তার মরদেহ বস্তায় ভরে নদীতে ফেলার পরিকল্পনা করেন রাজু। বস্তার ভেতর দুটি ইট দিয়ে মুখ বেঁধে জলকরমাধবপুর ধোনারখাল কপোতাক্ষ নদের উত্তরপাড়ে বস্তাটি ফেলে দেন। সেখান থেকেই পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।

এ বিভাগের আরো খবর