মানি লন্ডারিং আইনের মামলায় যুবলীগের কথিত নেতা ও ঠিকাদার এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমসহ আটজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন র্যাবের তৎকালীন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারওয়ার আলম।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০-এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের আদালতে বুধবার তার সাক্ষ্য নেয়া হয়। তার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আগামী ১৯ জুন পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ঠিক করেন বিচারক।
বিষয়টি জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মাহবুবুল হাসান।
বর্তমানে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব সারওয়ার আলমের সাক্ষ্যমতে, তার নেতৃত্বে জি কে শামীমের বাসায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে আসামির বাসা থেকে নগদ কোটি টাকা, অস্ত্র, বিদেশি মুদ্রা, এফডিআর সঞ্চয়পত্র ও কিছু চেক বই জব্দ করা হয়।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন মো. দেলোয়ার হোসেন, মো. মোরাদ হোসেন, মো. সামসাদ হোসেন, মো. আনিছুল ইসলাম, মো. শহীদুল ইসলাম, মো. কামাল হোসেন ও মো. জাহিদুল ইসলাম।
২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর জি কে শামীমকে তার কার্যালয় থেকে আটক করে র্যাব। তার কার্যালয় থেকে ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা, ৯ হাজার ইউএস ডলার, ৭৫২ সিঙ্গাপুরের ডলার, ১৬৫ কোটি টাকার এফডিআর, অস্ত্র ও বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ উদ্ধার করা হয়।
এরপর জি কে শামীমের বিরুদ্ধে র্যাব বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে, মানি লন্ডারিং এবং মাদক মামলা করে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবু সাঈদ তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ৪ আগস্ট আদালতে জি কে শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীর বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনের মামলায় চার্জশিট জমা দেন। ২০২০ সালের ১০ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে আদালত।