গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর পৌরসভা নির্বাচনে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতাই গড়তে পারেননি নৌকার প্রার্থী আতিকুর রহমান মিয়া। এমনকি জামানত রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ভোটও পাননি তিনি।
সেখানে জিতেছেন জগ প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আশ্রাফুল আলম শিমুল। ভোট পেয়েছেন ৬ হাজার ১৫৪টি। অন্যদিকে আতিকুরের নৌকায় ভোট পড়েছে ৬০৪টি। ব্যবধান ৫ হাজার ৫৫০।
মুকসুদপুর পৌরসভার নির্বাচন কর্মকর্তা আলাউদ্দিন আল মামুন নিউজবাংলাকে জানান, যত ভোট পড়বে তার ৮ ভাগের ১ ভাগ ভোট না পেলে প্রার্থী জামানত হারাবেন।
এই হিসাবে জামানত হারিয়েছেন নৌকার প্রার্থী আতিকুর রহমান। তিনি মুকসুদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র।মুকসুদপুর পৌরসভা নির্বাচনে ১৭ হাজার ৬২৭ ভোটের মধ্যে পড়েছে ১৩ হাজার ৯৭১টি। মেয়র পদে পাঁচজন প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থী পঞ্চম হয়েছেন।
নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থীর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোবাইল ফোন প্রতীকের আহাজ্জাত মহসিন খিপু পেয়েছেন ৪ হাজার ৫৩১ ভোট। এ ছাড়া চামচ প্রতীকের সাজ্জাদ করিম মন্টু ১ হাজার ৪৩৯ ভোট ও নারিকেল গাছ প্রতীকের সাইফ উদ্দিন সরকার বিদ্যুৎ ১ হাজার ২৪৩ ভোট পেয়েছেন।
আশ্রাফুল আলম শিমুল আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নন। তার বাবা খায়রুল বাকি মিয়া উপজেলার প্রথম চেয়ারম্যান ছিলেন। ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে তিনি গোপালগঞ্জ-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচন করে পরাজিতও হন।
মুকসুদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রবিউল আলম সিকদার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দলের মধ্যে নৌকার প্রার্থী নিয়ে কোন্দল ছিল। যে কারণে পরাজিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী। বিষয়টি নিয়ে দলীয় ফোরামে আলোচনা করা হবে।’
নির্বাচন হয়েছে গোপালগঞ্জ পৌরসভাতেও। এখানে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাচা শেখ রকিব হোসেন। তার বিপক্ষে নামা ৯ জন প্রার্থী একে একে ভোট থেকে সরে দাঁড়ান।
গোপালগঞ্জের দুই পৌরসভায় ইভিএমে ভোট নেয়া হয়েছে।