রাজধানীর ভাষানটেকে একটি স্কুলে বিদায় অনুষ্ঠানে ‘বিশৃঙ্খল শিক্ষার্থীদের’ বেত্রাঘাত করেন প্রধান শিক্ষক। এর প্রতিবাদে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখে ছাত্ররা। জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ এ কল পেয়ে প্রধান শিক্ষককে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।সৈয়দ আলী খান স্কুল অ্যান্ড কলেজে বুধবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
স্কুলের শিক্ষকদের বরাতে ভাষানটেক থানা পুলিশ জানায়, বুধবার এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান ছিল। খাবার দিতে দেরি হওয়ায় প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন কয়েকজন শিক্ষার্থীকে বেত্রাঘাত করেন। প্রতিবাদে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখে শিক্ষার্থীরা। খবর পেয়ে পুলিশ প্রধান শিক্ষককে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
পরে শিক্ষার্থীরা ভাষানটেক থানার সামনে এসেও বিক্ষোভ করে।
নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ভাষানটেক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মমকর্তা (ওসি) এবিএম আসাদুজ্জামান।
স্কুলটির ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র মাহবুব প্রধান বলে, 'আজকে বিদায় অনুষ্ঠান ছিল। আমরা খাবারের জন্য টাকা দিছি। অনুষ্ঠান শেষে উপরে গিয়ে গান গাচ্ছিলাম, চিল্লাপাল্লা করছিলাম। স্যার কইত্তে আইসা একটা বাশ দিয়ে মাইর শুরু করে। গরুর মতো মারছে। আমাদের ৮-১০ জন প্রচুর আঘাত পাইছে। আমরা স্যারের বিচার চাই, থানায় নিয়া গেছে।’
ওসি আসাদুজ্জামান বলেন, ‘স্কুলে প্রধান শিক্ষককে ছাত্ররা অবরুদ্ধ করে রেখেছিল। আমরা ৯৯৯ থেকে কল পেয়ে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে এসেছি।’
ছাত্রদের মধ্যে উত্তেজনার কারণ জানতে চাইলে পল্লবী জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘ছাত্রদের আগে খাবার দেয়ার দাবি করেছিল কিছু শিক্ষার্থী। শিক্ষকরা চাচ্ছিলেন মেয়েদের আগে খাবার দিতে। এ নিয়ে ঝামেলা। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক।’