বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেপ্তার কাউন্সিলরকে ফাঁসানোর অভিযোগ

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ১৫ জুন, ২০২২ ১৮:৫২

মঙ্গলবার রাতে চাঁদাবাজির মামলা করেন ফার্মেসি ব্যবসায়ী ইমাদুল ইসলামের ছেলে অহিদুজ্জামান। তবে বাদীর স্বজনের অভিযোগ, বিবাদ মেটাতে গিয়ে ফেঁসে গেছেন কাউন্সিলর নান্টা।

সাতক্ষীরা পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আইনুল ইসলাম নান্টাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পুরাতন সাতক্ষীরার বাসা থেকে মঙ্গলবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, চাঁদাবাজি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার রাতে এই মামলা করেন ফার্মেসি ব্যবসায়ী ইমাদুল ইসলামের ছেলে অহিদুজ্জামান। তবে বাদীর স্বজনের অভিযোগ, বিবাদ মেটাতে গিয়ে ফেঁসে গেছেন কাউন্সিলর নান্টা।

বাদী অহিদুজ্জামান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কাউন্সিলর নান্টা ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী মঙ্গলবার রাতে আমাদের হাটখোলা মোড়ের ফার্মেসিতে গিয়ে ৩ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। আমার আব্বু চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। এতে আব্বু আহত হন।’

মামলার বিষয়ে সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বিশ্বজিৎ অধিকারী নিউজবাংলাকে জানান, রাতেই অহিদুজ্জামান নান্টাসহ সাতজনকে আসামি করে সদর থানায় মামলা করেন। চাঁদাবাজির সেই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।তবে ইমাদুল ইসলামের চাচাতো ভাই শফিকুল ইসলামের দাবি, ভবন নির্মাণ নিয়ে বিবাদ মীমাংসার উদ্যোগ নিয়ে ইমাদুলের রোষানলে পড়েছেন কাউন্সিলর নান্টা।তার ভাষ্য, ‘পৌর আইন লঙ্ঘন করে আমাদের জমির ওপর ছাদের কার্নিশ বাড়িয়ে দেয় ইমাদুল। বাধা দিলে মামলায় জড়িয়ে হয়রানির হুমকি দিয়ে আসছিল। আমরা নিরুপায় হয়ে পৌরসভায় লিখিত অভিযোগ করি। তখন পৌরসভা তাদের নির্মাণকাজ বন্ধ রাখতে বলে। কিন্তু সে নির্দেশনাও না মেনে কাজ অব্যাহত রাখা হয়। ‘স্থানীয়রা এর প্রতিবাদ করলে ইমাদুল আমাকেসহ পাঁচজনের নামে মামলা করে। ওই মামলায় পুলিশ আমাকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায়। জামিনে বেরিয়ে আসার পরও আমাকে হুমকি দিতে থাকে ইমাদুল। মামলার আগে পুলিশ দুপক্ষকে নিয়ে বসার চেষ্টা করেছিল। আমরা হাজির হলেও তাদের পক্ষ হাজির হতো না। ‘এমন পরিস্থিতিতে আমরা সাতক্ষীরা প্রেস ক্লাবে পুরো ঘটনা তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলন করি ও মামলা থেকে রেহাই পেতে মানববন্ধন করি। এরপর ইমাদুল ইসলামের পরিবারের পক্ষ থেকে কাউন্সিলরের কাছে মীমাংসার জন্য প্রস্তাব দেয়া হয়। তাদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে অনেক মানুষের উপস্থিতিতে সালিশ হয়েছিল। মঙ্গলবার আমরা সালিশনামায় সইও করেছি। রাতে কাউন্সিলর নান্টা তাদের দোকানে স্বাক্ষর নিতে গেলে সই না দিয়ে উল্টো গালাগাল করে।’কাউন্সিলর আইনুল ইসলাম নান্টা বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। সাতক্ষীরা জেলা যুবদলের সভাপতি আবু জাহিদ ডাবলু নিউজবাংলাকে জানান, গত বছরের ২৪ জুলাই যুবদল থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়। আটকের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি দুপুরে শুনেছি চাঁদাবাজির মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।’

এ বিভাগের আরো খবর