ধর্ষণ মামলায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বুধবার দুপুরে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক নাজমুল হক শ্যামল।
আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের শুরুর দিকে মরদেহ দাফন ও সৎকার করে আলোচনায় আসেন কাউন্সিলর খোরশেদ। তিনি নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি।
২০২১ সালের ২৪ এপ্রিল ফেসবুক লাইভে এসে খোরশেদ ও তার স্ত্রী আফরোজা আক্তার লুনা এক নারীর বিরুদ্ধে হয়রানি ও তাকে (খোরশেদ) বাড়ি থেকে জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ তোলেন। তাকে (খোরশেদ) প্রশাসনিকভাবে নানা হুমকি দেয়া হচ্ছে বলেও জানান।
এর দুদিন পর ওই নারী ফেসবুক লাইভে এসে জানান, তিনি ব্যবসার কাজে দেশের বাইরে। খোরশেদ তাকে বিয়ে করেছেন। তার কাছে প্রমাণ আছে। বিষয়টি গোপন করার জন্য তার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও মানহানিকর অভিযোগ করেছেন কাউন্সিলর।
চার মাস পর সে বছরের ২৫ আগস্ট জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালতে খোরশেদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দেন সেই নারী।
আদালত অভিযোগটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়।
আদালত পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান জানান, সে বছরেরই ৮ নভেম্বর কাউন্সিলর খোরশেদের বিরুদ্ধে ওঠা ধর্ষণের অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে উল্লেখ করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেয় পিবিআই। ১৭ নভেম্বর খোরশেদের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত।
আসাদুজ্জামান আরও জানান, হাইকোর্ট থেকে ৬ সপ্তাহের জামিন নিয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নেন খোরশেদ। নির্বাচনের দুই দিন আগে গত ১৪ জানুয়ারি জামিনের মেয়াদ শেষ হলেও তিনি আত্মসমর্পণ করেননি। বুধবার আদালতে গিয়ে জামিন চাইলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
সেই নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর চেয়ে ১২ হাজার ৭৭০ ভোট বেশি পেয়ে ফের কাউন্সিলর নির্বাচিত হন খোরশেদ।